সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

আগস্ট, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কোন চিহ্ন আমি রাখবো না

  ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না বুকের রক্তিম গভীরে,   অনেকগুলো সৌন্দর্যরে চিহ্ন আমি ব’য়ে দিয়েছি নীল স্মৃতির মায়ানদী জু’ড়ে প্রোজ্জ্বলিত শুভ্র চাঁদের মত, নিসর্গ শিশিরের কোমলে, বিষাক্ত ছোঁয়ায়,   জেগে উঠা আঁখিতারায় নিঃশব্দে, কেঁপে উঠা আঙুলের একান্ত গভীরে   সেই উৎসবের সমস্ত আয়োজন মিশে গেছে স্লিগ্ধ ভোরে রূপসীর সৌন্দর্যে;                  যে মেঘ আমি উড়িয়েছি গাঢ় জ্যোৎস্নায় তীব্র ভালোবেসে পবিত্র শিশিরে,                     দু’চোখের উজ্জ্বল অশ্রুকোণ শ্রাবণজলে ঝ’রে গেছে নিসর্গ সন্ধ্যায়                 নরম সবুজ বাতাসে; পাখির সুর, নীল ঢেউ আর জ্যোতির্ময় আকাশে;                   ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না নিবিড় নীলবীথি হৃদপিণ্ডে                 নক্ষত্রের আলো ছায়ায় , শিশিরের জলে, উচ্ছ্বাসিত ভেঙে পড়া নির্মম হৃদয়ে                  অর্থহীন আমার সমস্ত সংগীত, রক্তাক্ত ক্ষ’তে জমে আছে গাঢ় নিস্তব্ধ নিশীথে;                     নিঃশব্দ অতীন্দ্রিয় শুভ্রতায় মিশে আছে টলোমলো অশ্রুবিন্দু সংগোপনে                   নৈঃশব্দে পা রাখি সোনালী মাটিতে, অশ্রুবিন্দু গ’লে প ’ ড়ে তীব্র ছ

আমি তো তোমাকেই ডাকছি

  আমি তো তোমাকেই ডাকছি আমার মতো ক’রে;   অনেকদিন ধ’রে এরকম ভাবে কাউকে ডাকিনি সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকলেই যে সাড়া পাওয়া যাবে সেটাও হয়তো ভুলে গেছি মন থেকে;   আজকাল খুব বেশী শূন্যতাবোধ করি মনে-মনে, চারদশক একাই তো চলে এলাম এই পর্যন্ত, জ্যোৎস্না আর নিসর্গ নদীকে পিছে ফেলে, আলো ও আঁধারের সকল চিহ্ন আজও স্পষ্ট আমার শরীরে স্বপ্নের সিঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আজও দেখি সেই প্রিয় মুখগুলো,   চাঁদ আর ফাল্গুনের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য মেখে যাঁদের আমি বর্ণনা করেছি পঙক্তি র পর পঙক্তি জুড়ে, নিশীথের বাতাসে যে শোভা খেলা ক’রে আমার কোমল ইন্দ্রিয়ে, তাঁদের আমি ভুলিনি, স্মৃতির পাতায় আজও যাঁদের অম্লান ক’রে রাখি,   স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে ছোঁয়া মিশে থাকে আমার বিবর্ণময় টুকরো-টুকরো স্মৃতিতে;   বেশী কিছু বলার নেই ভাবনার জগত থেকে, মুছে গেছে সময়ের ব্যবধানে জীবনের সমস্ত উৎসব বিবর্ণ বিষণ্ণতায়, নিজেকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করেছি ভুলে কী থাকতে পারবো তাঁদের ছাড়া, শূন্যতার স্বপ্নজলে   যারা আমাকে নিয়ে গেছে রুপালী নিঃসঙ্গ নিবিড় সন্ধ্যায় !   উজ্জ্বল অপরূপ সৌন্দর্যময় যে আঙুলগুলো কেঁপে উ’ঠে তীব্র ভালোবাসায়; মেঘ আর বৃষ

বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে

                   বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে, কয়েক দশক সময় ধ’রে                    উন্নত অনেক দেশের মতো সেও পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট লক্ষে                    বাঙলার সমস্ত ব্যাংক ভ’রে উঠছে ডলার-পাউন্ড আর ইয়েনে তার দিগ্বিদিক                  কানায় কানায় পূর্ণ সমস্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, উপচে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা                  তার সমস্ত রিজার্ভে, সুনিবিড় শিল্পের ছোঁয়া আজ হীরকখচিত মুদ্রায়                        কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতাব্দীর পর শতাব্দী ধ’রে যে স্বপ্ন দেখে আসছে                  তার পরিপূর্ণতার স্বাদ পেল এই প্রথম চারদশক বয়সে;                  ডলার ছাড়া কেউ আর হিসাব রাখে দৈনন্দিন কাজে, গৃহে ও বাইরে                  ভিখারির থালাও ভ’রে যাবে কচ-কচে রঙিন মুদ্রায় সমস্ত গলি-উপগলিতে;                         অনির্বচনীয় সব কিছু দেখা দেয় বাঙলার মাটিতে সফল হ’য়ে দিনে ও রাতে                       সমস্ত উজ্জ্বলতা ফিকে হ’য়ে আসে দীপালোকের আলোকশূন্যতায়                   নতুন বিন্যাস ঘটছে চতুর্দিকে, আমরা হয়তো পৌঁছে যাব নবদিগন্তে                  আমাদের সোনালী স্বপ্ন