সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

জানুয়ারী, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতাঃ প্রথম বন্ধু প্রথম বিশ্বাসঘাতক

                                                         সব কথাইতো তোমাকে বলা হলো                              আমার শৈশব, কৈশোর আর তার বেড়ে উঠা                              মধ্যে তিরিশে দু’চোখে জমানো বিষাদের গাঁথা,                                আত্মার বিষাদময় বিষণ্ণতায় জ্যোৎস্নার আলো আর                             বৃষ্টির ফোঁটায় কেঁপে কেঁপে উঠা আমার গ’লে যাওয়া                             হারানো সন্ধ্যায় ঝ’রে পড়া প্রগাঢ় নক্ষত্রের অপরূপ                             প্রসারিত স্বপ্নের উজ্জ্বলে খ’সে পড়া ভাবনার কথা;                                আমার মৌনতা সবুজ উদ্ভিদ আর নিজস্ব সুরে ক্ষণিকের ম্লান                              ছোঁয়ায় একান্ত আলিঙ্গনের রক্তিম গাঢ় দুঃখময় বিষাদের নিবিড়                             নীল স্মৃতির পলিমাটি ভেদ ক’রে ক্রমশ যে বেড়ে উ’ঠে মুহূর্তে;                                নিশীথের সন্ধ্যার কুয়াশায় গলিত অশ্রুকণায় শাদা হিমে অলৌকিক                                নিজস্ব গোলাপে গেঁথে থাকা তৃষ্ণার কোমল সুরের ঐকতানে                             ছু

কবিতাঃ কবিদের স্মৃতিতে

                                           তোমরা গেয়ে উঠলে গান একই সুরে, ভেসে আসা শূন্যতার                      মুখোমুখি, উজ্জ্বল আলোর প্রতিক্ষণে মসৃণ আর স্নিগ্ধ বেহালার সুরে;                      কোমল আর তীব্র অভিমানী কেউ কেউ, শিশিরের জলে মুখ লুকালে                      হৃদয়ের গভীর থেকে, নদীর জলে প’ড়ে রইলো হারিয়ে যাওয়া ব্যথিত                      অতীত, আলো আর আঁধারে দাঁড়িয়ে থাকা শ্রাবণ বাতাসে অমল                                          পুণ্যময়তায়, যারা ভুলে গেল ভাবনার মৌনতা; শুভ্রতা মিশে থাকে                      নির্ঝর পদ্মজলে; প্রোজ্জ্বল গাঢ় অর্থময় পৃথিবীর পথ থেকে নিরুদ্দেশে                      ম্রিয়মান নক্ষত্রের বিশাল আকাশে কুয়াশার নিবিড় গভীরে জীবনের                      টুকরো টুকরো স্বপ্ন হারিয়ে গেল কোনো এক মাঘের দুপুরে; আমিও                      হৃদয়ের গভীরে নিসর্গমালায় হারিয়ে যাই স্মৃতি আর চাঁদকে বু’কে নিয়ে                                          দাঁড়িয়ে থাকি একাকী ও নিঃসঙ্গতায় ভরা জ্যোৎস্নার ঝ’রে পড়া সবুজ                      অরণ্যেয় ভাবনার জলাধ

কবিতাঃ তোমাকে যে ভালোবাসে

            নগরের সকল কোলাহল ভুলে অনায়াসে তারা জায়গা ক’রে নিলো         তোমার ভাবনার কঠিন বিবর্ণ শরীরে যারা মৃত্যুর সাথে গেঁথে       নেয় মারাত্মক ব্যাধি, যাদের দেহে সারাক্ষণ আঁখিতাঁরায় ছুঁয়ে       যায় বিষ, জমে থাকা রক্তিমহিমে অশ্রুমালার বাতাসে;         জ্যোৎস্নার আলোয় ভেঙে প’ড়ে অলৌকিক নিবিড়তা কোমল           রক্তের টানে দিয়ে গেল বিপন্ন বিস্ময় স্বপ্নলোকে বেঁচে থাকার        কঠিন শপথ। নিদ্রিত আমি সন্ধ্যারাতে         প্রোজ্জ্বলিত উজ্জ্বল আলোয় ভাবনার মৌনে;       পলিমাটির বুকে ঝ’রে প’ড়ে নীল বৃষ্টিপাত       গভীর প্রাণে , সুনিবিড় শিল্পের সবুজ চোখে            তারা তোমাকে ভালোবেসে দিয়ে গেল শুভ্রতারা ,       অশ্রু আর ভাবনার সঙ্গে নদী ছুঁয়ে যায় সোনালী সন্ধ্যায়       গভীর পথে , দীর্ঘসিঁড়ি বেয়ে নেমে গেল নিরুদ্দেশে স্বপ্নলোকে,         বৃষ্টি ঝ’রে যায় আমার হলুদ বনে, পাতায় পাতায় স্নিগ্ধসুরে                           ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নকথার লাল দিনে; শান্ত আর শব্দহীন হৃদয়ে                          গলিত চাঁদের সকল সৌন্দর্য টলোমলো, কথামালায়                       

কবিতাঃ প্রজাপতির অত্যাচারে

                                       আমার ব্যালকনি আর মসৃণ ট’বে জড়ো হয় শুচ্ছ-গুচ্ছ প্রজাপতি,                    ভ’রে তোলে আমার নির্জনগৃহ ডানার সৌন্দর্যে, ব’সে পড়ে প্রোজ্জ্বল                    আলোয়, শাদা দেয়ালের বুকে, ঘূর্ণয়মান প্রসারিত পাখায়, রঙিন পর্দার                    কর্নারে তারা উ’ড়ে যায় সমস্ত গৃহে। বই, বলপয়েন্ট, দেয়ালে টানানো                    ফটোফ্রেম, শাদা টাওয়াল, ড্রয়িং টেবিল আর ছাঁদের কার্নিশে জড়ো হয়                                      নিভৃতে । উ’ড়ে যায় উচ্চভবনে, সকাল বিকাল সন্ধ্যা আর স্নিগ্ধদিনে;                    আমার কোমল চুলে ব’সে পড়ে উজ্জ্বল ডানা মেলে বিষাদের গোধূলির মৃদু                    ঠোঁটে। আমার সমস্ত গৃহ আজ তার হৃদয়ে গেঁথে থাকা গান, নির্মোহে                    প্রাণে বেঁচে থাকে মধুর বাতাসে। টেবিলের উপর প’ড়ে থাকা আপেলে                    কীটপতঙ্গের ক্ষয়ে যাওয়া আবাসে তার নিজস্ববাস। আমি বেড়িয়ে পড়ি                                      আপন গৃহ ছেড়ে তার কঠিন অত্যাচারে, রজনী গন্ধা, হাসনাহেনা আর                    চন্দ্রমল্লিকার সুগ

কবিতাঃ একা এবং একাকী

                                      ছুঁড়ে দিলে বিষ, আমার মসৃণ দেহে বিষাক্ত ছোঁয়ায়,                    দাঁড়িয়ে থাকলাম কোমল জলের ধারে ঠাণ্ডা হিমে;                      শিশিরের ফোঁটায়, অরণ্যের স্বপ্নের মর্মে, ভাবনায়                        জ্যোৎস্নার আলোতে, অজানা স্পন্দনে পবিত্র                    সম্পর্কের গাঢ় মধ্যেদিনে, আকাশ ছোঁয়ায়                    আদিম মানুষের মতো আমার গভীর হৃদয়ে জন্ম                    নিলো বিন্দু বিন্দু নক্ষত্রের রূপ আর                    মানবিক সম্পর্ক প্রোজ্জ্বল সবুজ শস্যেয় পরম উদ্ভিদে;                      গ’লে পড়া লাল আগুনে নিঃশব্দে,                    ভাবনার বিচিত্র রূপ খেলা ক’রে রক্তের গভীরে                    গলিত অশ্রুকণায়, হারানো সুরের বিনিদ্র রজনীতে                      নিসর্গ সন্ধ্যায় তোমার মুঠোতে প’ড়ে                    রইলো আমার সৌন্দর্য শোভিত ব্যর্থ                    ভালোবাসা । আশ্চর্য বিশ্বস্ত মাধুর্যে, রক্তে আর মাংসে                    তাঁরা দিয়ে গেল মেঘমালার সুখের প্রবাহিত ধারা,                     শীতল ঢেউ আর

কবিতাঃ মধুমতী

নদী ব’য়ে যায়, সবুজ শস্যের বুকে, বাঙলার মাটিতে আমার স্বপ্নের গভীরে। জলের চ্ছল চ্ছল শব্দে পলিমাটি ভেদ ক’রে নীরবে ব’য়ে যায় স্মৃতির আঙিনায়,   ঢেউয়ের বুকে আমি ভেসে যাই, হারিয়ে যায় তার গতিপ্রগতিতে গাঢ় অন্ধকারে; জল ঢেউ আর আমার প্রবাহিত নৌকা ছুটে যায় গলিত স্বপ্নের নিজস্ব ঠিকানায়, আষাঢ়ের বৃষ্টির ফোঁটায় ভ’রে যায় আমার নৌকার মসৃণ গলুই, শান্ত অপরূপ আলোয় কেঁপে উঠে শরীর, মায়াবী নদীর সোনালী জলে স্তব্ধতার সুর বাজে শ্রাবণধারায়, প্রাণের সব সুর খেলা ক’রে, গভীর রুপালী জ্যোতির্ময় আলোয়, মধুমতীর নিবিড় বাতাস আমাকে নিঃসঙ্গ ক’রে তোলে, শিশিরের জলে লুপ্ত হ’য়ে যায় আমার সমস্ত স্বপ্ন, আঁখিতারায় গ’লে গ’লে ঝ’রে যায় সবুজ পল্লব, নিসর্গের শাদা হিমে। শূন্যতার বুকে উদ্ভাসিত আলোয় বিহ্বল ক’রে ঝলমলে নিথর স্তব্ধতার সুর। তোমার খরস্রোতা বুক দিয়ে ভেসে যায় বজরা, পানসি, টাবুরিয়া, ডিঙ্গি সহ আরো কতো না নৌকা। বাঁকে-বাঁকে খেলা ক’রে জলের প্রবাহিতধারা। গভীর রুপালী নদী, বেঁচে থাকে আঁখিকোণে শিশিরের ছোঁয়ায়, সকাল-সন্ধ্যায় ফিরে যাই রাশি রাশি স্বপ্ন নিয়ে উজ্জ্বল আভায়, ঢেউয়ের পর ঢেউ এসে আমাকে নিয়ে যায় গভীর শূন্যত