চন্দ্রাবতীর পিতা ; মনসা মঙ্গল কাব্যের অন্যতম রচয়িতা দ্বিজবংশী দাস। মাতা সুলোচনা। আনুমানিক (১৫৫০) ষোড়শ শতাব্দীতে জন্মগ্রহণ করেন চন্দ্রাবতী। মৈমনসিংহ গীতিকায় পাওয়া যাবে তাঁর সেই বিষাদমাখা শোককাহিনী। যে কাহিনীতে রয়েছে ভাষার অপার সৌন্দর্যমাখা এক করুন সুর। এই অঞ্চলের মানুষের মুখে মুখে রয়েছে সেই করুন কাহিনীর বর্ণনা। কবে রচিত হয়েছিল এ করুন কাহিনী ? কেন গাঢ় দুঃখগুলো জমা হলো চন্দ্রাবতীর জীবনে ? কি ঘটে গিয়েছিল তাঁর প্রবাহমান জীবনে! প্রেম, ভালোবাসা, ব্যর্থতা আর তার করুন সুর বাঙলা সাহিত্যেয় রচিত হয়েছে শতকের পর শতকে। কিন্তু; সেই কাহিনী থেকেও অনেক করুন হ’য়ে বেজে উ’ঠে চন্দ্রাবতীর শোক। সেই শোক কি অনেক করুন আর বিষাদময় ছিল অন্যান্য কাহিনী থেকে ? না, ভাষার নিটোল স্পর্শে সেই কাহিনী প্রকাশিত হয়েছিল কবিতা নামক পঙক্তির মতো। যা নাড়া দেয় আমাদের হৃদয়ে; লুকায়িত করুন সুরে। সেই বিষাদময় সুর থেকে চন্দ্রাবতী রচনা করেছিলেন ‘মলুয়া’, ‘দস্যু কেনারামের পালা’ এবং ‘রামায়ণ’ কাহিনী। যা তার-ই সুরে রচিত অম্লান শোকগাঁথা। এ কাহিনীর প্রবাদ পুরুষ হ’য়ে উঠেন ড. দীনেশচন্দ্র সেন। তিনি নিজ উদ্যোগে চন্দ্রাবতীর করুন কাহিনীর ‘রামায়ণ’