সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

অক্টোবর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতাঃ অনেক দিন তাঁদেরকে দেখি না

  অনেক দিন তাঁদেরকে দেখি না, যাঁদেরকে চোখের কোণে লুকিয়ে রেখেছি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে; অশ্রুকোণে তারা লুকিয়ে থাকে গভীর স্মৃতির অন্তরালে আমার নিরর্থক দিনগুলি বেড়ে উ’ঠে দুঃস্বপ্নে, অতীত স্মৃতি খেলা ক’রে ভাবনার শরীরে নিঃশব্দে, জলের উপর দীর্ঘ ঢেউ ফেলে-ফেলে তারাও হারিয়ে যায় আমার শূন্য বুক থেকে; টলোমলো চোখের ভেতর নেমে আসে কোনো এক বিষাদের চিহ্ন কয়েক মুহূর্তে দীর্ঘ হ’য়ে শুভ্র জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যও যেন হারিয়ে যায় নীল বুক থেকে মাঘের কোমল বাতাসে তীব্রভাবে                                      আবেগের সমস্ত কিছু যেন ধুয়ে-মুছে গেছে হৃদয়ের সজীব কোণ থেকে মায়াবী শূন্যলোকে   প্রোজ্জ্বলিত দিনের শেষে নেমে আসে গাঢ় রাত্রি নিভৃত বু’কে, শাশ্বত ভাবনার মহাবিশ্বে একাকী চাঁদও ভুলে যায় আলো-আঁধারের সমস্ত স্মৃতির কথা বিবর্ণ ধারায় নিঃশব্দে; সমস্ত দুঃস্বপ্ন যেন জড়ো হয় আমার চতুর্দিকে, হারানো স্মৃতির ফেলে আসা উজ্জ্বল নক্ষত্রে, ফিরে তাকাই সৌন্দর্যময় সেই দিনগুলির দিকে, আশ্চর্য ঠোঁটে কেঁপে উ’ঠে শূন্যতার ব্যবচ্ছেদ স্মৃতিকাতর আমার হারানো সুর, তাৎপর্যময় হ’য়ে উঠেনি কোন কিছুই সুনিপুণ আঙুলের ছোঁয়ায় শব্দহ

কবিতাঃ কবির বাস্তবতা

                      বাস্তবের সাথে মিশে থাকি, চিন্তা-ভাবনায় জড়ো করি এক গভীর উপলব্ধি                     কাব্যেয় রূপ দেই ঐশ্বর্যময় প্রোজ্জ্বলিত শব্দের; চৈতন্যলোকে টেনে আনি                     বিচ্ছিন্ন চিত্রকল্পনা, ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নহীন বিবর্ণতায় একে দিই মহাকবির                     অমর বাণী কয়েক মুহূর্তে, মৃদু স্বরে বেজে উ’ঠে কোনো হারানো সুর বু’কের                     মধ্যে থেকে, নিঃসঙ্গ ও গাঢ় অন্ধকারে মিশে যায় পূর্ণ অভিজ্ঞতার অনেক কিছু;                     নিবিরভাবে ডুবে থাকি জমানো প্রাজ্ঞ উপলব্ধিময় সুগভীর কোন কবিতার পাতায়                     নিরর্থক দিনের অনেক কিছুই ফু’টে উ’ঠে হারানো স্বপ্নের মধ্যে, শ্রাবণ দিনের                     রোদের ঝিলিকে, সোনালি আঙুলে খেলা ক’রে কারুকার্যময় সৌন্দর্য অমল সন্ধ্যায়,                       কণ্ঠস্বর থেকে ঝ’রে প’ড়ে পরিস্রুত ভাষার জ্যোতির্ময় স্নিগ্ধ কবিতার মসৃণ অক্ষর                     তীব্র আবেগে হারিয়ে যাই দিগন্তের উদ্ভাসিত আলোকে, বিষাক্ত ছোঁয়া দিয়ে যায়                        কঠিন ব্যথা মসৃণ শরীরে অবলীলায়, অতীন্দ্রিয় আমার নিসর্

কবিতাঃ নিঃসঙ্গতা ও একটি নীল জ্যোৎস্না

                     মনে প’ড়ে না তোমার কথা, খুব বেশী যে চেষ্টা করেছি তাও নয়-                    ভাবনার সাথে মিশে থাকি একান্ত হ’য়ে, গভীর বু’কে জ’মে থাকে অনেক                    আবর্জনা শতাব্দীর অমল শিশিরে, সান্ত্বনা দিয়ে তাদের ঘুমিয়ে রাখি                    আলতো ক’রে মনের কোণে; নিসর্গ সন্ধ্যায় ঝ’রে প’ড়ে নীল জ্যোৎস্না আমার                    বারান্দায়, রক্তজবা তার ডাল বিছিয়ে দেয় কোমল হাতের নিবিড় স্পর্শে;                        হারিয়ে ফেলি সৌন্দর্যের সকল অর্থ কবিতার পাতা থেকে রূপসীর দীপ্ত চোখে,                          ঘুমহীন সারা রাত কেটে যায় অমল জ্যোৎস্নার সবুজ বাতাসের কোমল ঠোঁটে;                    আমার দু’চোখ থেকে কেঁপে-কেঁপে ঝ’রে প’ড়ে শ্রাবণের জল শিশিরের ছোঁয়ায়                    ঘাসের সবুজে তাদের বাঁচিয়ে রাখি গাঢ় অন্ধকারে, অজস্র স্বপ্ন ভেঙে যায়                    চন্দ্রালোকের জ্যোতির্ময়ে, স্বরহীন আমার সমস্ত বাক্য খুঁজে ফিরে গভীর স্তব্ধতা                        তীব্র ভালোবাসায় মিশে যায় গাঢ় উপলব্ধি, সুগভীর ভাবনার সাথে স্মৃতিরা                    মিশে থ

কবিতাঃ ঠিক পৌঁছে যাব

                         ঠিক পৌঁছে যাব আমি, দেখে নিও তুমি সেই সময়ের মধ্যে                      যা তুমি আমাকে বেঁধে দিয়েছ, তোমার ফ্রেমে বাঁধা সময় থেকে,                        ভুলে যাইনি আমি সেই সময়ের কথা আমার বিস্তৃত মন থেকে,                      যা তুমি আমাকে বার-বার স্মরণ ক’রে দিয়েছিলে বুধবার সন্ধ্যায়,                         হ য়তো আমি হারিয়ে যাব গভীর অন্ধকারে, দু’চোখে গেঁথে থাকবে                      অমল সৌন্দর্য অবিরত, চোখের মধ্যে ব’য়ে যাবে মায়ানদী স্রোতের টানে,                      সবুজ অরণ্যেয় মিশে থাকবে প্রোজ্জ্বলিত পূর্ণিমার নিঃশব্দ গাঢ় আলো                      আমার ব্যথিত স্বপ্নলোকে, তারপরও আমি মনে রাখবো তোমার দেওয়া                      সেই সময়ের কথা, যা তাৎপর্যপূর্ণ হ’য়ে দেখা দেয় স্মৃতির গভীর কোণে,                          তীব্র জ্যোৎস্না আর শিশিরের ফোঁটা যদি নেমে আসে আমার আপন                      পথে কেঁপে উঠা হৃদপিণ্ডে, নদীর ঢেউ যদি তাকে নিয়ে যায় অন্যদিকে                      তারপরও আমার গন্তব্য ভুল হবে না তোমার পথে পা বাড়াবার জন্য;