সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতাঃ যাচ্ছ তবে, আমাকে ছেড়ে

যাচ্ছ তবে আমাকে ছেড়ে, বিন্দু-বিন্দু অশ্রু ঝ’রে প’ড়ে অবিরল নদীর জলের সাথে, লাবণ্যরূপে তা-বিলীন হয় দিগন্তের হাওয়ায়- শুধু মনে প’ড়ে কোনো উত্তর দেইনি তোমার কথায়, মানবিক সব সম্পর্ক তোমার অধীন অলৌকিক প্রতিশ্রুতিতে, ঐশ্বর্য-স্বপ্ন-সৌন্দর্য আদিম ভাষার মতো মিশে থাকে কঠিন চিত্তে, মুগ্ধ হ’য়ে তাকিয়ে থাকি সেই ছায়ার দিকে, বৃষ্টির ফোঁটার সাথে মধ্যেদিনে   আমার স্বপ্নলোকে ভেসে উ’ঠে উজ্জ্বল দ্যুতিময় তীব্র শিহরণ মুহূর্তে-   গ’লে প’ড়ে জ্যোতির্ময় চাঁদ সকল সৌন্দর্য ভেদ ক’রে, নির্নিমেষ সুবর্ণদিনের হারানো সুরে, অন্ধকারের অবিচল পথে, যাচ্ছ তুমি আমাকে ছেড়ে, সকল স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার ক’রে, প্রতিহিংসা ছুঁড়ে- আমার জ্যোতির্ময় শরীরে, ব’য়ে যাওয়া স্রোতের দিকে     বিষাদের চিহ্নে হৃদয় ছুঁয়ে যায় জীবনের হৃদয়স্পন্দনে         বিতৃষ্ণার বিশাল ঠোঁটে, নক্ষত্রের আলিঙ্গনের নিবিড় স্পর্শে- জমে উ’ঠে নির্বোধ ধ্যানে, পতঙ্গের লাল কীটের বিষাক্তে   বিস্ময় জাগায় আমার প্রাগৈতিহাসিক সমতলে আলো ও আঁধারের বু’কে, কালো ছায়া দৃষ্টি ছড়ায় নদীর বু’কে, মেঘের আড়ালে খেলা করে আমার অনিশ্চিত জীবন, তোমার ভাবনার সাথে আমি ম

কবিতাঃ শোকার্ত মধ্যেদিনের গান

                আশ্চর্য সুন্দরের সাথে, পায়ে পা মেলে আমিও এগিয়ে গেলাম, মেঘের নরম                 ভাজে, গেঁথে থাকলো জীবনের জটিল আহ্বান, স্তব্ধ মুহূর্তে মুছে গেল রচিত                 সকল অমর কাব্য শোকার্ত দিনে, চাঁদের সৌন্দর্য আর জ্যোতির্ময় আলোয় ম্লান                 হ’য়ে ঝ’রে প’ড়ে প্রোজ্জ্বল ভাবনার চোখে-গাঢ় তিতিক্ষায়; সেই সাথে তার                 আকাঙ্ক্ষার সব চিহ্ন ঝ’রে প’ড়ে বসন্তের হাওয়ায়, ব্যাকুল নিবিড়তায়-                            ঔদার্যহীনতা ভেসে যায় অতীতের উত্তরাধিকারে চৈত্রের কোমল বাতাসে,                 রচিত সুর আত্মপ্রেমে ভুলে যায় চাপা কান্নার দীর্ঘশ্বাসে, পাণ্ডুলিপির অক্ষর                 হারিয়ে যায় শুভ্র আঙুলের ছোঁয়ায়; রুপালী নীল স্রোতের ঢেউয়ের বু’কে-                 নির্মল সম্পর্ক মুহূর্তে ধোঁয়াশা ছড়িয়ে দেয় অতীতের টুকরো-টুকরো স্পর্শে,                 স্তব্ধ আর বিশাল রাত্রির জ্বলন্ত অগ্নিতে, নিঃশেষে মিশে যায় মনের অন্তর্দাহ,                             অদৃশ্য আমার গান, ক্লান্তির অপরূপে, মৃত্যুর সৌন্দর্যে, প্রতিধ্বনির শরীরে-                 বু’কের ঐশ

কবিতাঃ নিস্তব্ধতার সুর

অন্ধের মতো পা রাখি, শত পথ হয়তো আমাকে অতিক্রম করতে হবে জীবনভর; ডুব দেই নিজের মাঝে, স্বপ্নের গভীরে, তীব্র ক্ষোভ জ’মে উ’ঠে সব   রক্তের হিমে, ঐন্দ্রজালিক আলোয় বসে থাকি, সবুজ বাতাস আমাকে নিয়ে যায় রুপালী স্বপ্নের গভীরে, বৈচিত্র্যময় মুহূর্তে হারিয়ে ফেলি গাঢ় নিঃসঙ্গতা; বু’কের গভীর থেকে নেমে প’ড়ে শক্ত নীল পাথর, মাঘের বাতাসে-নিরুদ্দেশে   যাদের রোপণ করেছি মনের কিনারায়, শিশিরের জলে-হলুদ রঙয়ের আলোয়;   পূর্ণিমায় ম্লান হ’য়ে উ’ঠে ধূসর সন্ধ্যায়, জীবনের মানচিত্রে, রাতের নক্ষত্রে ঠোঁটের ছোঁয়াও বিষাক্তে পরিণত হয় সুগন্ধময় আকুল হৃদয়ে বিবর্ণ প্রান্তরে, নির্বিকার চেতনায় তাঁদের আর বেঁধে রাখি না-মোহিনী অন্ধকারে জীবনের রঙে শত কথার ধারায় যাদের গান বেজে উ’ঠে অমল ধারায় সুরে-সুরে শূন্যমনে   আমার শব্দের সম্ভারে, প্রতিধ্বনি হ’তে থাকে সেই কণ্ঠস্বর-শতাব্দীর উৎসবে; নক্ষত্রের আড়ালে, মর্মর ধ্বনি সর্বত্র মিশে থাকে অবিন্যস্ত মুগ্ধতা-শত রূপান্তরে- রাতের হারানো অপূর্ব সৌন্দর্য , জ্বেলে উঠা লাল আগুনে নিসর্গময় নিস্তব্ধে উত্তপ্ত হ’তে থাকে আমার বিগলিত জ্যোৎস্না প্রবাহিত শরীরের অলৌকিক শুভ্রতায়, শাশ

কবিতাঃ এই শহর ছেড়ে

                 এই শহর ছেড়ে, একদিন বেড়িয়ে পড়বো নিজের মত ক’রে, শ্রাবণের অপরূপ সৌন্দর্য আর উত্তাল বাতাসকে সাথে ক’রে বেড়িয়ে পড়বো; লাল আগুনের মতো- সব কিছু যখন আমার সামনে দিয়ে নিষ্ঠুরতা ছড়াবে; তখনও আমি স্থির রবো না,   ভালোবাসার বু’কে লোকোত্তর স্বপ্ন, সমস্ত কোমলতা যখন আমাকে ছেয়ে ফেলবে তার বাহু দিয়ে; তখনও আমি একটু দাঁড়াবো না, ভেঙে পড়া সম্পর্কে কোনো কিছুই দীর্ঘ স্থায়ী পায় না, আমার মধ্যে গ’ড়ে উঠা সকল জ্যোতির্ময় সৌন্দর্য এই শহরেই রেখে যাব, তাঁদের হাতের স্পর্শে গেঁথে রয়েছে আমার নিষ্ঠুরতা; তাও আমি ভুলে যাব, আমার হৃদপিণ্ডে রয়েছে বিবর্ণতা, আর আকাশের নীল টুকরো-টুকরো স্মৃতি, স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে জড়িয়ে থাকে অলৌকিক স্বপ্ন; শোকাবহ বেদনাও আমাকে একটুকুও কাঁপাতে পারবে না, স্বপ্নহীন মানুষের মত সবকিছু রেখে যাব নিশীথের বাতাসে, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করবো না, কোন কিছুতে কেঁপে উঠা বু’কের মধ্যে, মুহূর্তের মধ্যে ভুলে যাব গাঢ় সন্ধ্যায় নিভে যাওয়া সেই মোমের আলোয় আমরাই একত্রিত করেছি ফুল আর কোমল ঠোঁটকে, আঁখির কোণে জ’মে উঠা সন্ধ্যাতারায়, হারিয়েছি হৃদয়ের সকল কোমল সুর, আশ্চার্য গ’ড়ে উঠা শরীরে,

কবিতাঃ একটি গভীর নীরবতা চাই

স্নিগ্ধ আর শান্ত নীরবতা যেন আমাকে হিম ক’রে তুলছে, আমি কি হারিয়ে যাবো আমার মধ্যে থেকে ! ভাবনার সাথে বেড়ে যাচ্ছে দীর্ঘ এক ব্যবধান, বিচ্ছুরিত আলোর মধ্যেও আমি দেখতে পাই স্তব্ধ এক গভীর নীরবতা, সব কিছু যেন নিস্তব্ধ হ’য়ে সৌরভ ছড়াচ্ছে আমার চতুর্দিকে; বিস্ময়ে-বিমুগ্ধ তাকিয়ে থাকি গাঢ় পল্লবের দিকে, বিহঙ্গের সুর যেখান থেকে বেজে উ’ঠে কোমল হ’য়ে, অরণ্যের মাঝে হারিয়ে ফেলি নিজেকে; আবার খুঁজে ফিরি সকাল-সন্ধ্যায় বেদনার মধ্যে ক্ষণে-ক্ষণে;   আমি কী ভুলে গেছি আমার পিতা বা পিতামহের নাম, যাঁদের প্রবাহিত ধারা স্রোতের মতো বেঁয়ে চলে আমার রক্তে; আমার সন্তান কী মনে রাখবে আমার নাম !   কয়েক দশক গত হওয়ার পর তার অন্তরের মাঝে ? গভীর স্নেহ আর শিশিরের হিমেল হাওয়ায় যাদের ভালোবেসেছি অনেক বেশি; আমার কী মনে থাকবে রবীন্দ্রনাথের কোনো কবিতার পঙত্তি; যা আমি গলায় বেঁধেছি সুরের মতো বা জীবনানন্দের ‘ গভীর অন্ধকারের ঘুম থেকে নদীর চ্ছল চ্ছল শব্দে জেগে উঠলাম আবার ’; পড়েছি অনেকবার, জানি, কিছুই মনে থাকবে না আমার;   ভুলে যাবো! স্তব্ধ চিত্তে যা নিয়েছি নিজের ক’রে আপন মনে হাসনাহেনা-কামিনী আর বকুলের সু

কবিতাঃ অতন্দ্রীলা, ভুলিনি তোমায়

                 জ্যোতির্ময় চাঁদ আর মেঘের দিকে মুখ রেখে আজও তোমায় খুজি অতন্দ্রীলা , সেই সন্ধ্যায় আমরাইতো বেঁচে ছিলাম আমাদের মতো ক’রে নির্মম অগ্নিতে   বসন্তের হাওয়ায় আমরা ভালোবাসলাম পরস্পরকে ভাবনার শাশ্বত আকাশে, জ্যোতির্ময় তোমার মুগ্ধময় রূপ, আমার বুক আজও কাঁপে তার গভীর শূন্যতায়;   রক্তাক্ত ক্ষতের চিহ্ন, সুধার তৃষ্ণায় রূপান্তরিত করলে তুমি নীলিমার আলিঙ্গনে; নিস্তব্ধ মনের কোণে রোপণ করলে একশো একটি লাল গোলাপ আর শুভ্রতা শিরায়-শিরায় ঝ’রে পড়লো আমাদের মিলিত সঙ্গীত উদ্দীপ্ত কোমল ইন্দ্রিয়ে,   আশ্চার্য শরীরে গেঁথে দিলে শুভ্র দ্যুতি, নিবিড় স্তব্ধ রাত্রি, শিল্পীর তুলির স্পর্শে; অপূর্ব মাধুর্যময় সেই সঙ্গীতের সুর, যা কেঁপে উ’ঠে হৃদয়ের উদ্দীপ্ত মর্মের ঠোঁটে   গভীর ভালোবাসায় আমরা হারিয়ে গেলাম নীল রক্তস্রোতে কেঁপে উঠা মুহূর্তে আদিম অন্ধকারে প’ড়ে রইলো আমাদের অর্থহীন মুখচ্ছবি স্তব্ধ স্মৃতির আড়ালে মেঘমালার পুঞ্জ-পুঞ্জ শিশিরে ছুঁয়ে গেল কোমল সৌরভ, আঁখির দুর্ভেদ্য নিশীথে; গ’লে-গ’লে ঝ’রে পড়লো দু’চোখের অশ্রুবিন্দু, তৃষ্ণাতো শরীরে বৃষ্টির ছোঁয়ায় অলৌকিক কণ্ঠস্বরে ম্লান হ’লো আমাদের প্র

কবিতাঃ লেটার বক্স

হৃদয়ের সব সম্পর্ক আজ বৈদ্যুতিক, মিশে না কোন সম্পর্ক আর মনের গভীরে;                                 কিছুই আর অপেক্ষায় থাকে না প্রাপ্তির অপেক্ষায় দিনের শেষে-                                   ক্ষণে-ক্ষণে যা মিলে যায় মুহূর্তে, অপূর্ণতা নেই কিছুতেই;                        শনি-সোম আর বুধের অপেক্ষায় চেয়ে থাকে না অমলিন দু’চোখ                    আমার মরচে পড়া লেটার বক্স শূন্য পড়ে রয় সুরম্য অট্টালিকার কোণে কেঁপে-কেঁপে,                   কেউ আর উজার ক’রে বলে না তাঁর সকল কথা অন্যের সাথে স্নিগ্ধ সৌরভে ,                          মেঘ ও জ্যোৎস্নার সাথে উ’ড়ে গেছে আমাদের সকল কথা হৃদয়ের গভীর থেকে;                                   হৃদয়ের গাঢ় দুঃখ আজ রূপান্তরিত হ’য়ে উ’ঠে পারদের হিমে,                                               নীল সবুজে মিশে থাকে রক্তের সম্পর্ক নিবিড় বু’কে;                                অলৌকিক ভাবনা জমে স্নিগ্ধ আবেগে, ছুঁয়ে যাওয়া মৌনে,                                            পলি মাটির বু’কে ঝ’রে পড়ে নীল বৃষ্টিপাত ক্ষণে-ক্ষণে;