যাচ্ছ তবে আমাকে ছেড়ে, বিন্দু-বিন্দু অশ্রু ঝ’রে প’ড়ে অবিরল নদীর জলের সাথে, লাবণ্যরূপে তা-বিলীন হয় দিগন্তের হাওয়ায়- শুধু মনে প’ড়ে কোনো উত্তর দেইনি তোমার কথায়, মানবিক সব সম্পর্ক তোমার অধীন অলৌকিক প্রতিশ্রুতিতে, ঐশ্বর্য-স্বপ্ন-সৌন্দর্য আদিম ভাষার মতো মিশে থাকে কঠিন চিত্তে, মুগ্ধ হ’য়ে তাকিয়ে থাকি সেই ছায়ার দিকে, বৃষ্টির ফোঁটার সাথে মধ্যেদিনে আমার স্বপ্নলোকে ভেসে উ’ঠে উজ্জ্বল দ্যুতিময় তীব্র শিহরণ মুহূর্তে- গ’লে প’ড়ে জ্যোতির্ময় চাঁদ সকল সৌন্দর্য ভেদ ক’রে, নির্নিমেষ সুবর্ণদিনের হারানো সুরে, অন্ধকারের অবিচল পথে, যাচ্ছ তুমি আমাকে ছেড়ে, সকল স্বপ্নগুলো ভেঙে চুরমার ক’রে, প্রতিহিংসা ছুঁড়ে- আমার জ্যোতির্ময় শরীরে, ব’য়ে যাওয়া স্রোতের দিকে বিষাদের চিহ্নে হৃদয় ছুঁয়ে যায় জীবনের হৃদয়স্পন্দনে বিতৃষ্ণার বিশাল ঠোঁটে, নক্ষত্রের আলিঙ্গনের নিবিড় স্পর্শে- জমে উ’ঠে নির্বোধ ধ্যানে, পতঙ্গের লাল কীটের বিষাক্তে বিস্ময় জাগায় আমার প্রাগৈতিহাসিক সমতলে আলো ও আঁধারের বু’কে, কালো ছায়া দৃষ্টি ছড়ায় নদীর বু’কে, মেঘের আড়ালে খেলা করে আমার অনিশ্চিত জীবন, তোমার ভাবনার সাথে আমি ম