সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কিশোর সাহিত্যঃ পুকুর ও তেঁতুল পাতার ছায়া

পুকুর পাড়েই নিঃসঙ্গ ভাবে দাঁড়িয়ে আছে দীর্ঘ তেতুল গাছটি। জানালার ফাঁক দিয়ে সেই তেতুল গাছটির দিকে তাকিয়ে থেকেছি অনেক সময় ধরে। সকাল, দুপুর বা তা কখনও পৌঁছে গেছে পড়ন্ত বিকাল পর্যন্ত। সেই তেতুল গাছের শিকড়টা মাটি ভেদ করে এতো দূর পর্যন্ত চলে গেছে যে তা ভেবে আর কোন কুল কিনারা পেতাম না। অনেকদিন ভাবতাম গাছটা অনেক দূরে, তার শিকড়টা এতো দূরে কিভাবে আসলো ? তাহলে শিকড় কি চোখে  দেখে দেখে এগিয়ে যায় ! অনেকদিন সেই শিকড় ধরে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি তার গোরা পর্যন্ত। কিন্তু কোন বারই সফল হয়নি। বার-বার যেন হারিয়ে গেছি তার মূল থেকেই। কখনই পৌছতে পারিনি তার শেষ সীমা পর্যন্ত। জানালা দিয়ে পুকুরের সেই পানির দিকে তাকিয়ে থেকেছি আমি অনেকক্ষন ধরে। সেই পানির উপর যখন রোদ পড়তো, অদ্ভুত লাগতো আমার। মনে হতো সেই আলো পড়া মাত্রই পানির রঙ যেন ভিন্ন রূপ ধারণ করছে। কখনও একে-বেকে পানির উপর ছোট-ছোট ঢেউ মিশে যেত এপার থেকে ওপার পর্যন্ত। তাকিতে থাকতাম, রোদ পড়া সেই পানির দিকে। যেন রোদ পেয়ে পানি চিক-চিক করে উঠছে। কত সময় নিতো সম্পূর্ণ ঢেউটি পানি থেকে হারিয়ে যাওয়ার জন্য। এক মিনিট, দশ মিনিট না একঘণ্টা। তা আমি মনে করতে পারি না। জানালার এ প

গল্পঃ শীতের বিকেলে তার চিঠি

পৌষের শেষের দিকে শীতটা কেমন যেন বেড়ে যাচ্ছে দিন-দিন। মাঘ, তখনও আসেনি। জায়গাটা নীরব হওয়াতে সব দিকেই কেমন যেন এক প্রকার গভীর নীরবতা বজায় থাকে দিনের বেশীর ভাগ সময় । রাতে এ-দৃশ্যটা চোখে ধরা পড়ে আরও অনেক বেশী। এমনিতেই, এ-স্থানটিতে মানুষের আনাগোনা খুবই কম, তার উপর শীততো রয়েছে। ঘন বনে আচ্ছাদিত তার চতুর্দিক। দিনের বেশীর ভাগ সময়ে সূর্যের মুখ দেখা দেখা যায় না বললেই চলে। বড়-বড় বৃক্ষের মাথায় সূর্যের উকি মারা অভ্যাসটা আমার চোখ এড়াতে পারে না। মনে হয়; সূর্য তার মুখ দেখাবার জন্য উকি মারছে। কিন্তু বার-বার যেন ব্যর্থ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তার চেষ্টা সে যেন ব্যর্থ করতে চায় না। কয়েকটা মাস এখানে আমার একা থাকা লাগবে ভেবে মনটা বেশ অস্থির লাগছে। আমি যে বাংলোয় একা থাকি, তাতে আমার তেমন কোন কষ্ট হয় না। আমার কাজগুলো শেষ হয়ে গেলেই; আমি দ্রুত চলে যাব এখান থেকে। এই ডাকবাংলো য় প্রবেশের পথগুলো সোজা নয়; বেশ আকা -বাকা আর উঁচু-নিচু। এক পথ থেকে অন্য পথে যাওয়া খুব সহজ নয়। অনেকটা পথ ঘুরে-ফিরে সেখানে পৌঁছতে হয়। বেশ ঢালু প্রকৃতির পথ। মাঝে-মাঝে মনে হয়; রাস্তায় নয়, যেন পাহাড়ে হাঁটছি। আমার কাজগুলো, আমি সময় মত শেষ করতে পারবো বলে