সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০১৯ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতাঃ যখন অন্ধকার চাই

                মসৃণ ভাবনার আকাশে, বেড়ে উঠা চেতনার সন্ধ্যাতারায় ঠাই নিই বেঁচে থাকার জন্য; জানি হয়তো হারিয়ে যাবো, ঐশ্বর্যময় মুহূর্তের জন্য; আবার হয়তো বেঁচে যেতে পারি কয়েক দশক; সত্য বা মিথ্যায় পরিণত হ’তে পারে আমার সকল ভাবনা নীরবে; তাদের আর বেঁধে রাখি না অন্যসকল সুত্রে, মানুষ যা খুব বেশী পছন্দ করে নিত্য চর্চায়; রক্তনালী বেঁয়ে ঝ’রে পড়ে সেই অমল সুর; গেঁথে যাওয়া অম্লান মেঘে আলো ও আঁধারে মিশে থাকে সবকিছু পরম উদ্দীপ্ত উল্লাসে; তাকে লালন করি আমার মৌনে; সব ছেঁড়ে প্রাণের অন্তরালে                   তাকে বলি, আরও গভীরে যাও; লাবণ্যের মুগ্ধময় পথ ধ’রে;                     ব’য়ে যাওয়া ঠোঁটের ছোঁয়ায়; ঘন সন্ধ্যা নামে আমার বু’কে; নষ্টদের সকল প্ররোচনা ধু’য়ে যাক অপার্থিব সৌন্দর্যে-সবুজে কারুকার্যময় সকল কিছু আজ আমার হোক পার্থিব মুহূর্তে; দিগন্তের শেষ সীমানায় পৌঁছে যাবো কেঁপে উঠা রাত্রিকালে সকল স্পর্শ আজ ছুঁয়ে যাবো পরস্পরের কোমল রিক্ত ঠোঁটে; গভীরতম আজ যা কিছু, শৈবালের হ্রদে ভিজে যাবে স্রোতে                 স্পর্শহীন রাখবো না বিষদগ্ধ অন্ধকারে, গাঢ়নীল অশ্রু মাধুর্যে   আমিও বে

কবিতাঃ দু’ফোঁটা চোখের জল ও একটি শূন্যতা

                শূন্যতায় ডু’বে আছি, গভীর এক শূন্যতা আমার চতুর্দিকে; অবলীলায় মনের                 দিক্বিদিক সে যেন ছড়িয়ে প’ড়ে প্রস্ফুটিত কোন এক জ্যোতির্ময় আলোর মত !                 চোখের জলের সাথে একটি বৃহৎ শূন্যতা যুক্ত হয় আমার ভাবনার মৌন জগতে;                   সহজসাধ্য ছেলের মতো তাঁকে অনায়াসে জায়গা ক’রে দিই আমার আঁখিকোণে;                 দুর্বোধ্য তার সবকিছু আমার চিত্তে; শৈথিল্য নেই কোন কিছুতে; যে বেড়ে উ’ঠে                 আমার হাতের স্পর্শে, ভাবনাচিন্তায় দেখা দেয় না গাঢ় মননশীলতা, বুদ্ধিদীপ্ত সেই                 বোধ যা জায়গা ক’রে নেয় কল্পনাবিলাসে, অভিনবত্ব তার বহিঃপ্রকাশ বিস্ময়কর                 সব স্বপ্ন ঐন্দ্রজালিক মায়ায়; কালো হাওয়ায় মিশে থাকে ঘনবৃষ্টি; সন্ধ্যার কোমল                 মেঘে ব্যর্থহীন সম্পর্কে কালের মর্মর দীর্ঘশ্বাস বাতাসের ধূসর রঙে গেঁথে রাখি                 চৈত্রের পুঞ্জ-পুঞ্জ হিমবাতাস আমার নিভৃত নিশীথে; চন্দ্রালোকে ছড়িয়ে দিই হলুদ                 আভাস কল্পনার স্মৃতিতে; আকাশের নীলে খেলা ক’রে গোপন সুর, অপরূপ তার                   জ্যোতির্ময়

কবিতাঃ গভীর নির্জন পথে

সকল সম্পর্ক ভু’লে মাঝরাতে বেড়িয়ে পড়ি আপন পথে; যেখানে বেড়ে উ’ঠে আমার মধুময় হারানো শৈশব; এখানকার সব’ই আমার চেনা, সম্পর্ক যেন গভীর রক্তের সাথে; উঠানে এসে যখন পা রাখি, জ্যোৎস্না রাতে আমার ছায়া দেখে আমিই বিহ্বল হ’য়ে দাঁড়িয়ে পড়ি, দীর্ঘ একটি ছায়া ও আমি গভীর নির্জন আলোয় একা দাঁড়িয়ে থাকি, সেও আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে একাকী মনে; যেন আমার পথ তার’ই হ’য়ে যায়; আমি মনে মনে বলি; নিঃসঙ্গ একাকী মানুষ আমি ভাবনার জগতে; কবিতা লিখি, সুখ ও দুঃখের কথা লিখি অমল সুরে;                 ছায়া কি এতো বড় হয়ে গেছে ? যে আমাকে ছেঁড়ে যেতে চায় দূর-বহুদুরে !                 সে কি মেঘ ও চাঁদকে ছুঁয়ে ফেলবে ! প্রসারিত বাহু যেন সেদিকেই এগিয়ে যায় ! আমাকে ছাড়াই তার পথ অনেকদূর এগিয়ে গেছে; কৃষ্ণচূড়া হাসনাহেনা আর কামিনীর কথা ভু’লে ছায়ার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকি; আলো-আঁধার আমার খুব চেনা, নীলের ভিতর আমিও ডুবে ছিলাম আপন রঙে পরিশুদ্ধ সম্পর্ক চেয়ে; কৃষ্ণচূড়া ও নারকেলের ছায়া আমার খুব প্রিয়; নীল ছোঁয়ায় প্রোজ্জ্বল কণ্ঠস্বর                  আমার শ্রাবণ জলে, এখানে কতবার দাঁড়িয়ে ছিলাম মাঘনিশিতের ভরা পূর্ণিমায়,

কবিতাঃ আমার স্বপ্নগুলো আমার চেয়ে বড়

আমার স্বপ্নগুলো আমার চেয়ে বড়, সে কথা বলে মৃদুসুরে আপন আলোয়; বেঁড়ে উ’ঠে আমাকে ভর ক’রে, মিশে থাকে একান্ত গভীরে শব্দের সাথে, ভালবাসার সব রঙে শরীর ছুঁয়ে যায় সমুজ্জ্বল উল্লাসে, নৈঃশব্দতার ঢেউ’য়ে   সে অনেক চেষ্টা ক’রে আমাকে ছেঁড়ে আমার ছায়ায় বাসা বাঁধতে সুখনিদ্রায়, নির্জন ভাষা তাকে দিয়ে যায় আকাশের প্রসারিত রুপ চন্দনের প্রতিশ্রুতে;                  আমি মিশে যাই তার সাথে, ভাবনা আর চেতনা আমাকে নিয়ে যায় পৃথিবীর অন্ধকার অববাহিকায় স্তব্ধ অরণ্যের মাঝে, স্বপ্নগুলো আমাকে নিয়ে ডুব দেয় জোস্নার কোমল আলোয়, আপন মনে, কখনও আমাকে ছেঁড়ে চলে যায় দূরে;                 মিষ্টি রোদের পরম ছোঁয়া পেতে গভীর নির্জনে; হারানো পথে, সৌন্দর্যে গেঁথে থাকে অতন্দ্রিত রাত; চক্ষুজুড়ে আলো আঁধারে মিশে থাকে লাল নীল কুয়াশা,                    সবুজ ঘাসের সৌন্দর্য অলৌকিকতায় বেজে উ’ঠে আপন কণ্ঠস্বরে, নীল জলে শত স্নিগ্ধ প্রজাপতি উ’ড়ে যায় আমার বাহুতলে, একগুচ্ছ সবুজ উদ্ভিদে জন্ম                 নেয় আমার রচিত কাব্য ভালবাসার ভিন্নরূপে; পরম সম্পর্ক মুছে যায় মুহূর্তে, রক্তের গভীর থেকে; ভেসে আসে শাদা মেঘের হাও

কবিতাঃ একটু দাঁড়াবো, অতঃপর চলে যাবো

একটু দাঁড়াবো , অতঃপর চলে যাবো তোমার ছায়া থেকে অনেক দূরে, রুপালী স্বপ্নের আঁখিপাতে, কিছু বলবো না তোমাকে; কখনোও যা বলিনি, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির কোন কিছুই নেই আমার গৌরব করার মত; যেখানে থাকতে পারে শূন্যয় ভেঙে পড়া মানবিক সম্পর্কের নীল চিহ্ন   সমুদ্রের ছায়ায়, জ্যোৎস্নার ভিতরে মিশে থাকে কঠিন রুপ রক্তের হিমে আশ্বিনের বাতাসে উ’ড়ে যায় আমার সকল চেতনা তার আপন লক্ষে, শিশিরের জলে, ছুঁয়ে যাওয়া নিঃশব্দ প’ড়ে থাকে হৃদয়ের সকল গোপনীয়তার ঠোঁটে; অন্ধ ও নিশীথ আঁখিকোণে কাপা আঙ্গুলের সুরে প্রস্ফুটিত কোমলে ঝ’ড়ে প’ড়ে বিক্ষিপ্ত জ্যোতির্ময় অমল আলোকে; নান্দনিকতা যেন ছুঁয়ে যায় সৌন্দর্যের অমল ঠোঁটে শিশিরের ফোঁটায়, রক্তলাল হৃদপিণ্ডে গেঁথে থাকে ঝকঝকে নীল আলো শ্রাবণের ধারায় আপন শরীরে, ব্যর্থতার স্পর্শহীন সম্পর্ক মসৃণ ক’রে তোলে নিসর্গ বনে; আমার জ্যোৎস্নাময় পবিত্র দুই ঠোঁট কেঁপে কেঁপে বেজে যায় নিরবধি, মায়াবী আঙুলের নীলছোঁয়ায় মৃত্তিকা নেই পদতলে স্বপ্নের গভীরে তোমার একফোঁটা চোখের জলে দাঁড়িয়ে থাকে আমার বেড়ে উঠা স্বপ্ন শতাব্দীর সূর্যকরোজ্জ্ব্ল মধ্যেদিনে, দীপাবলির জ্বেলে উঠা আলোয় জলপাই রঙের স

কবিতাঃ নক্ষত্রবীথি

নক্ষত্রবীথি, ভাবনার মহাশূন্যতা; নিঃসীমশূন্য তার অন্তরীক্ষ সুরলোক; চিত্তের সপ্তলোকে অজবীথি; সন্ধ্যাতারায় মিশে যায় উত্তরফাল্গুনী জ্যোতির্ময় নক্ষত্রপুঞ্জ; আকাশতল মিশে রয় স্মৃতির দিগন্তরেখায়; ধনবতী তার নক্ষত্রখচিত চন্দ্রিমায়,   সুধাময় ঘনবীথি; অনলশিলা দিকে দিকে; শীতময়ুখ আবর্তন কৃত্রিম স্রোতস্বতী,     নির্ঝরিণী, তরঙ্গিণী ছুঁয়ে যায় দিব্যনদী; জলতরঙ্গে ঊর্মিল পুঞ্জমেঘে স্বৈর মেঘমগ্ন বৃষ্টিরধারা হ’য়ে উ’ঠে শিশিরকণায় অঝোর রাত্রিজলে হিমাচ্ছন্ন প্রবালদ্বীপে মুগ্ধ;   রুপান্তরিত শিলা ব’য়ে যায় পর্বতশৃঙ্গ দীপালোকে, প্রদীপ্ত আলোকে দ্যুতির স্ফূর্তি বিচ্ছুরিত, বিকীর্ণ সূর্যালোকে, প্রোজ্জ্বল সমুজ্জলে; মেধার হিমবাহে নির্জীব প্রান্তর; জ্যোৎস্নায় ভেসে যায় আমার হারানো অমানিশি; নীলকমলের শ্বেতপদ্মে অশ্রুসিক্ত হারানো দিনের বিষাদগ্রস্ত, আবার ফিরে আসে গাম্ভীর্যময় সৌন্দর্যে, ব্যাকুল স্লিগ্ধ   অমল শরীরে; নিশিকান্ত ছুঁয়ে যায় আমার ভরা পূর্ণিমা তার মাধুর্যে টলমলে জলে; তরঙ্গিণীর সব ধারা ব’য়ে চ’লে অকূলপাথারে, সন্ধ্যা নদী ব’য়ে দিই নির্ঝরে মেঘে, বৃষ্টির ফোঁটায় ভ’রে উ’ঠে অমল আঁখিকোণ অম্লান হিমবা