সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

মার্চ, ২০১৮ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

কবিতাঃ অনেকদিন কেঁপে উঠি না

অনেক দিন কেঁপে উঠি না গভীর সৌন্দর্যের উজ্জ্বলতর ছড়ানো দিনে, ভাবনার কল্পিতশরীরে, যারা চলে গেছে বিস্ময়কর সকল সম্পর্ক নিস্তদ্ধতা র রঙে ধুয়ে-মুছে দিয়ে; তাদেরই হৃদয়ের অলৌকিক ভাবনার রূপান্তরিত সকল মর্মরধ্বনি র আপন মহিমায় বেজে উ’ঠে উজ্জ্বল সোনার আলোয় কল্পনার কঠিন তুলিতে, সীমাহীন অনুভূতির আশ্চর্য শূন্যতায় গেঁথে থাকে অমল রাত্রির বিস্ময়কর সৌন্দর্যপবিত্র দিনে। অনেকদিন কেঁপে উঠি না সীমাহীন ভাবনায় সাধারণ মানুষের মতো দীপ্তিমান উজ্জ্বলতর আশ্চর্য চেতনায়; যারা রূপান্তরিত করেছে সকল মৌনতার সুর, অর্থহীন শিল্পকলায় আদিগন্ত বিস্ময়কর ব’য়ে যাওয়া স্রোতে নক্ষত্রপুঞ্জের গলিত স্বপ্নে; মর্মরধ্বনি উন্মুখ সকল ঐশ্বর্যে; কল্পনার তুলিতে তাঁদেরই নিয়ে নিই যারা অনুভূতির সর্বত্র ছড়িয়ে দেয় আমার ব্যথিত হৃদয়ে পঙ্কজের দিক চিহ্নহীন অমল পাপড়িতে। অনেকদিন কেঁপে উঠি না আশ্চর্য সুখ বু’কে নিয়ে নিস্তব্ধতার হিমে; জ্যোতির্ময় ঝ’রে পড়া কঠিন হৃদপিণ্ডে রূপালি জলে আপন আলোয় বিগলিত অকস্মাৎ নিবিড় ছোঁয়ায় মেঘমালার নিঃশব্দের নীল মেঘে, অমল সৌন্দর্য আমার নীল প্রজ্জলিত আদিম উৎসবে সঙ্গীতের সুরে; রক্তজবা ফ

কবিতাঃ জননীর স্মৃতি

তোমার চিহ্ন ব’য়ে বেড়াই আমার সমস্তঅ বয়বজু ’ ড়ে ; আঙুলের ছোঁয়ায় কেঁপে উঠা আমার বাড়ন্ত চুলে; নিঃশব্দতায় ভেসেযায় গভীর স্পর্শে; শূন্যতাবোধ করি মানবিক প্রত্যহ   কর্মে, সকাল- বিকাল আর সন্ধায়, গাঢ় বিষাদে যেখানে জ’মে থাকে সীমাহীন শোকাবহ আমার গভীর হৃদয়ে, হারানো দিনের স্মৃতিতে কষ্ট পাই, ভাবি মনে মনে, তুমি ছিলে আমার স্বপ্নের অনুভূতির কঠিন বাস্তবতায়। জ্যোতির্ময় আলো ছুঁয়ে যায় আমার উপলব্ধিময় ভাবনার কম্পিত ঠোঁটে; স্বপ্নের লালনীল সিঁড়ি বেঁয়ে রূপান্তরিত হ ’ য়ে উ’ঠে নিস্তব্ধতার সকল আলোছায়া   রৌদ্রজ্জ্বল বিস্ময়ে, সৌন্দর্যের কঠিন অর্থও হারিয়ে যায় স্বপ্নের বিস্ময়কর মধ্যেদিনে। যেখানে আর কোনো সৌন্দর্য জেগে   উ’ঠে না; আমার হারানো সুরে। যারা র’য়ে গেছে স্মৃতিতে, খুঁজি না তাঁদের আর বিস্ময়কর দিনে। অনুভূতির সব উৎসাহ আজ   কঠিন লীলাভূমি আমার আবর্তে। নিস্তব্ধতার গান বিরচিত হ’য়ে   সুর ছড়ায় কল্পনার তুলিতে । মর্মরধ্বনি রূপান্তরিত নিক্ষিপ্ত আমার সকল চেতনার শিল্পে। আশ্চর্য ভাবে আনন্দঘন উৎসাহে; অনুভূতির সব বেদনাও জেগে রয় অসুন্দর সীমাহীন নক্ষ ত্রে ।   জ্যোৎস্নায় দাড়িয়ে থাকি ঝ ’

কবিতাঃ বৈমানিক

                                         ভেসে যাচ্ছ তুমি আকাশ থেকে আকাশে,                     সাদা মেঘমালার গভীর অভ্যন্তরে, সবুজ উদ্ভিত ভেদ ক’রে                      জেগে উঠছে তোমার সৌরভময় শ্রুতি;                       শুভ্র নির্মল লাল আকাশ,                                       নীল আকাশ,                                              সুগভীর সম্পর্ক                     স্বপ্নময় হ’য়ে উ’ঠে।                      অনর্গল প্রবাহিত হয়েছো অনৈসর্গিকের দিকে ,                     যেখানে রোদ,                                  বৃষ্টি,                                        কুয়াশা,                                               শিশির,                                                       অরণ্য                     কোনো   কিছুই নেই ।                     অনিন্দ্য যুবরাজ থেকেছো   অন্তরিত।                                        ছড়িয়েছো চন্দনের প্রলাপ;                       হৃদয়ের অভ্যন্তরে নিয়েছো লবঙ্গের জল,                                                  উদ্ভিত হ’য়ে উ

কবিতাঃ এসো, তুমি নাচবে আমার সঙ্গে

                    এসো তুমি সুন্দরী প্রিয়তমা, আমার বাহুতে                                               হৃদয় আর শরীরে;                         হাতে হাত রাখো,                                        আমার হাতে                                                 তোমার হাত,                     আর একটু উ’ঠে এসো, আমাকে লক্ষ্য ক’রে                     আজ বিধ্বস্ত হোক অতীতের সব মধুর সম্পর্ক,                       এসো তবে আমারই দিকে, এইতো আমি                                                       সুন্দরী প্রিয়তমা !                     নক্ষত্র, অরণ্য, স্পন্দনহীন সান্ধ্য আলোর                                                       ছায়া সব-ই আমাদের;                     এই যে আমার পায়ের দাগ, অপার্থিব সৌন্দর্য,                                      চন্দনের চিহ্ন, জ্যোতির্ময় উদ্ভাসিত আলো;                     এসো তবে আমার স্মৃতিময় গভীর পথে, নিসর্গে                       পায়ে পা রাখো; গোপনে গোপনে, হারানো সুরে                         হাতে হাত রাখো আলতো ক’রে, তোমার হাতের     

কবিতাঃ অমর সৌন্দর্য

                    শ্রাবণের কোনো স্নিগ্ধ সন্ধ্যায় মসৃণ কেকটি তোমারই                     নামের অক্ষর ধারণ ক’রে তাকিয়ে আছে তোমারই দিকে ।                      জনহীন নিভৃত নিঃসঙ্গ তরুণী, পদ্মকোমল, বিকশিত                     জ্যোৎস্না, যে আসে শ্রাবণের বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় কোমল আর                      প্রিয় হ’য়ে । রাশি রাশি গোলাপ, কামিনী, রক্তজবা, প্রোজ্জ্বল                      অর্কিড-এ ভ’রে উ’ঠে আপন আলয়, নির্ঝরের দীপ্তিময় দ্রুতি,                     আমার হারানো সুর, শুক্ল পক্ষের তিথি, প্রজ্ঞাময় গভীর নিবিড়                      ভালোবাসা, যাকে মসৃণ তাঁতের শাড়িতে সবচে ভালো মানায় ।                     ধারালো ছুরিকা হাতে, অপেক্ষা শুধু ইশারার, পৌরাণিক সব                     কাহিনী আজ পারলৌকিক আবর্জনায় চন্দনের প্রলাপ, তবেই                     সু-সম্পন্ন হ’বে সব আয়োজন, সুধাময় স্মৃতিতে যা অম্লান;                       আজ মধ্যেরাত অবধি চলবে হাস্যজ্জল প্রগাঢ় অঘ্রাণের স্মৃতি।                        রিস্টওয়াচ দিয়ে যাবে সময় কেঁপে কেঁপে, অলৌকিক বিমর্ষ                      

কবিতাঃ তোমাকে দেখে ফিরে

                                      ভালোবাসা কাকে বলে তুমি নাকি তা জানোই না                    তুমি জানো, অপরাহ্ণ বেলা তিনটার সময়                    ধীর পায়ে ফ্ল্যাট থেকে নেমে আসতে হয় তোমাকে,                    আর অধীর অপেক্ষা করতে হয় আমার শহরের                    সবচেয়ে   ব্যস্ততম সড়কটির পাশে (যেখানে তোমরা                    প্রত্যহ মুখোমুখি হও)                    ভালোবাসা কাকে বলে তুমি নাকি তা জানোই না                   তুমি জানো,তাঁর হাতে হাত রেখে তোমাকে প্রবেশ                   করতে হয় আমার শহরের দীর্ঘ উদ্যানটিতে (যেখানে                    তোমরা তোমাদের পেতে পারো নিবিড়ভাবে)                                                    ভালোবাসা কাকে বলে তুমি নাকি তা জানোই না                   তুমি জানো, অনুক্ত অনেক কথাই আজ বলতে                   হয় তোমাকে,পূর্বে যা বলোনি (কথাগুলো সু-বচন                     হয়ে রয় মনের মাটিতে)                                    ভালোবাসা কাকে বলে তুমি নাকি তা জানোই না                   তুমি জানো,অতন্দ্রিত রাত আর ক

কবিতাঃ তরুণী

                                       বেড়ে উঠছো মেঘ, কুয়াশা, জ্যোৎস্না আর শিউলি ফুলের                    বোঁটায় । পা রাখছো চিত্রা, মধুমতি আর মহানন্দার পাড়ে;                    কোনো স্বপ্নই আজ আর অপার্থিব নয়, শিশির বিন্দু, নিসর্গ                    নদী আর টলমল জলের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান আজ                                       তোমার অবয়বে। স্বপ্ন, সৌন্দর্য আর হারানো মুদ্রার কম্পন                    কোনো কিছুই স্মৃতিতে স্থির নেই, অশ্রুগাঁথা নয়নে শুধুই                     রোদনের স্মৃতি। কোনো অনুতাপ অনুসূচনা নয়, প্রাপ্তি আর                     পূর্ণতায় ভ’রে আছো আমার অকুণ্ঠ প্রেমময় ভালোবাসা ।                                         জানতে চেয়ো না কোথায় তোমার অবস্থান ? রূপসী তরুণী                     আমার ! আমার বাঙলায় আজোও তোমার উজ্জল উপস্থিতি;                     পদচিহ্ন র’য়ে গেছে বাঙলার ভুভাগে, শিলালিপির গুপ্ত গহ্বরের                     মতো; দীপ্তিময় তরুণী, জলপ্রবাহ, তরঙ্গ, ঢেউ আর তার সুর                                       কম্পন তোমার দিকেই এগিয়েছে।

কবিতাঃ তোমার কাছাকাছি

                                        আমি নাকি তোমার কাছে পৃথিবীর সবচেয়ে                                                        কঠিন পদার্থ,                      তাই   ভূলে-ও একটু ভালোবাসোনি                                                      আমায় ।                     নির্মল, পবিত্র, সুন্দর আমার সকল সম্পর্ক,                    অপার অসীম তার অকুণ্ঠ ধারা, জ্যোৎস্নাময়                    বিগলিত হিম, অজর তার উজ্জ্বল ঠোঁট;                    যদি দাও আমাকে তোমার সকল ভালোবাসা,                    তাহ’লে লিথিয়াম গ্যাস থেকে অনেক                        অনেক হালকা   হ’য়ে যাবো এই আমি ।                    শুধু তোমার জন্য অধরে ফুটিয়েছি অনিন্দ্য কাঁঠাল                    চাপা আর কামিনী; শুধুই তোমার জন্য আমার স্বরে                     রচিত অম্লান সঙ্গীত; অন্তরের সৌন্দর্য আজ গাঢ় অন্ধকারময়,                    তোমার ঐ প্রবাহিত ঢেউ, অপূর্ব, অতুলনীয়, অদ্ভুত আর                    অসামান্য। হৃদয়ে জাগিয়ে দেয় সবুজ উদ্ভিত, আমার                    অশ্রুআঁখিতে । তোমার স্পর্শ প