১৩৭৪ সাল , শারদীয় দেশ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় সমরেশ বসুর ‘ প্রজাপতি ’ উপন্যাস । তাকে বহন করতে হয় অনেক শ্লীল - অশ্লীলের দায় । নিষিদ্ধ হয় বাঙলা সাহিত্যের একটি কথাসাহিত্য । মানবিক ভাবে আঘাত করা হয় সমরেশ বসুকে । কেন নিষিদ্ধ করা হয় প্রজাপতিকে ? কি ছিল তাতে ? বই – ও নিষিদ্ধ হবে , অন্য অনেক কিছুর মতো ! ‘ নিষিদ্ধ প্রজাপতি ’ উচ্চারিত হয় সর্বমহলে । তাকে বহন করতে হয় দীর্ঘ কালিমা । সাহিত্যের বিচারে কোথায় রাখবো প্রজাপতিকে ? সে কি টিকে থাকবে বাঙলা সাহিত্যেয় তার আসনে ! ১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারীতে , প্রজাপতিকে প্রথম আঘাত করলেন এক তরুণ অ্যাডভোকেট , অমল মিত্র । তাঁর এ - কাজে তাকে সাহায্য করলেন অন্য অনেকে ; এমনকি সরকারি আমলা - মোক্তার এগিয়ে এলেন এ - পবিত্র কাজে । যে কোনো উপায়েই হোক নিষিদ্ধ করতে হবে ‘ প্রজাপতি ’ । শারদীয় এ - সংখ্যার জন্য দোষী করা হ ’ লো তার প্রকাশককেও । এ - ভাবে কেটে যায় আঠারোটি বছর । মানবিক ভাবে বিপর্যয় হ ’ য়ে পড়েন লেখক সমরেশ বসু । কি হবে প্রজাপতির ? সে - কি বেঁচে থাকবে ...
মামুনুর রহমান, সমকালীন বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় সংবেদনশীল কণ্ঠ। তাঁর লেখায় জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোও নতুন এক আলোর আভায় ফু’টে ওঠে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কবিতা কেবল শব্দের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি সেই নীরব ভাষা, যা অন্তরের গভীরে বাস ক’রে, পাঠকের অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সঙ্গে মিশে এক অনন্য প্রতিধ্বনি সৃষ্টি ক’রে। তেমনি তাঁর গদ্য রচনা পাঠককে শুধু ভাবায় না, বরং অনুভব করায়, জীবনের ক্ষুদ্রতম ছোঁয়ায়ও গভীর মানসিক ধ্বনিতে স্পন্দিত ক’রে। তিনি খেয়াল রাখেন পাঠকের মন ও মননশীল দিকটি।