"দাও হস্তে তুলি নিজ হাতে তোমার অমোছা শরতাল, তোমার অক্ষয় তূর্য। অস্ত্রে দীক্ষা দেহো রুণতরু। তোমার প্রবল পিতৃস্নেহ ধ্বনিরা উঠুক আজি কঠিন আদেশে। করো মোরে সম্মানিত নব্বীর বেশে, দুরূহ কর্তব্যভারে দুঃসাহ কঠোর বেদনায় পরাইয়া দাও অঙ্গে মোর- ক্ষতচিহ্ন অলংকার। ধন্য করো দাসে সফল চেষ্টায় আর নিস্ফল প্রয়াসে।” (ধর্ম, ৬ মাঘ ১৩১৫: ১৯ জানুয়ারি-১৯০৯) রবীন্দ্রনাথ, চিন্তা করেছেন সমাজ, রাষ্ট্র, সভ্যতা, প্রেম, দুঃখ, আনন্দ, হাসি, কান্না এবং বেদনা নিয়ে। মানব মনের এ দিকগুলো তাঁর সৃষ্টিতে এসেছে বার বার। মনের এমন কোনো দিক নেই, যেখানটাতে তিনি বিচরণ করেননি। বিশ্বাস অবিশ্বাস চেতনাসত্তায় স্থান ক’রে নিয়েছেন ধর্মীয় ভাব এবং তাঁর মূল্যবোধকে। মানব জীবনের এ সত্তায় তিনি বেড়িয়েছেন দিক থেকে দিগান্তরে। কতটুকু বিশ্বাস বা আস্থা ছিল তাঁর ধর্মীয় চেতনা বা বিশ্বাসে? তিনি অটল ছিলেন বিশ্বাস, আর অবিশ্বাস নিয়ে? তাঁর ধর্মীয় চেতনার স্থানটিতে ‘ধর্ম’ (৬ মাঘ ১৩১৫: ১৯ জানুয়ারি ১৯০৯) নামক একটি চেতনা সর...
মামুনুর রহমান, সমকালীন বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় সংবেদনশীল কণ্ঠ। তাঁর লেখায় জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোও নতুন এক আলোর আভায় ফু’টে ওঠে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কবিতা কেবল শব্দের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি সেই নীরব ভাষা, যা অন্তরের গভীরে বাস ক’রে, পাঠকের অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সঙ্গে মিশে এক অনন্য প্রতিধ্বনি সৃষ্টি ক’রে। তেমনি তাঁর গদ্য রচনা পাঠককে শুধু ভাবায় না, বরং অনুভব করায়, জীবনের ক্ষুদ্রতম ছোঁয়ায়ও গভীর মানসিক ধ্বনিতে স্পন্দিত ক’রে। তিনি খেয়াল রাখেন পাঠকের মন ও মননশীল দিকটি।