ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না বুকের রক্তিম গভীরে, অনেকগুলো সৌন্দর্যরে চিহ্ন আমি ব’য়ে দিয়েছি নীল স্মৃতির মায়ানদী জু’ড়ে প্রোজ্জ্বলিত শুভ্র চাঁদের মত, নিসর্গ শিশিরের কোমলে, বিষাক্ত ছোঁয়ায়, জেগে উঠা আঁখিতারায় নিঃশব্দে, কেঁপে উঠা আঙুলের একান্ত গভীরে সেই উৎসবের সমস্ত আয়োজন মিশে গেছে স্লিগ্ধ ভোরে রূপসীর সৌন্দর্যে; যে মেঘ আমি উড়িয়েছি গাঢ় জ্যোৎস্নায় তীব্র ভালোবেসে পবিত্র শিশিরে, দু’চোখের উজ্জ্বল অশ্রুকোণ শ্রাবণজলে ঝ’রে গেছে নিসর্গ সন্ধ্যায় নরম সবুজ বাতাসে; পাখির সুর, নীল ঢেউ আর জ্যোতির্ময় আকাশে; ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না নিবিড় নীলবীথি হৃদপিণ্ডে ...
মামুনুর রহমান, সমকালীন বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় সংবেদনশীল কণ্ঠ। তাঁর লেখায় জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোও নতুন এক আলোর আভায় ফু’টে ওঠে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কবিতা কেবল শব্দের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি সেই নীরব ভাষা, যা অন্তরের গভীরে বাস ক’রে, পাঠকের অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সঙ্গে মিশে এক অনন্য প্রতিধ্বনি সৃষ্টি ক’রে। তেমনি তাঁর গদ্য রচনা পাঠককে শুধু ভাবায় না, বরং অনুভব করায়, জীবনের ক্ষুদ্রতম ছোঁয়ায়ও গভীর মানসিক ধ্বনিতে স্পন্দিত ক’রে। তিনি খেয়াল রাখেন পাঠকের মন ও মননশীল দিকটি।