সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কোন চিহ্ন আমি রাখবো না

  ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না বুকের রক্তিম গভীরে,   অনেকগুলো সৌন্দর্যরে চিহ্ন আমি ব’য়ে দিয়েছি নীল স্মৃতির মায়ানদী জু’ড়ে প্রোজ্জ্বলিত শুভ্র চাঁদের মত, নিসর্গ শিশিরের কোমলে, বিষাক্ত ছোঁয়ায়,   জেগে উঠা আঁখিতারায় নিঃশব্দে, কেঁপে উঠা আঙুলের একান্ত গভীরে   সেই উৎসবের সমস্ত আয়োজন মিশে গেছে স্লিগ্ধ ভোরে রূপসীর সৌন্দর্যে;                  যে মেঘ আমি উড়িয়েছি গাঢ় জ্যোৎস্নায় তীব্র ভালোবেসে পবিত্র শিশিরে,                     দু’চোখের উজ্জ্বল অশ্রুকোণ শ্রাবণজলে ঝ’রে গেছে নিসর্গ সন্ধ্যায়                 নরম সবুজ বাতাসে; পাখির সুর, নীল ঢেউ আর জ্যোতির্ময় আকাশে;                   ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না নিবিড় নীলবীথি হৃদপিণ্ডে  ...

আমি তো তোমাকেই ডাকছি

  আমি তো তোমাকেই ডাকছি আমার মতো ক’রে;   অনেকদিন ধ’রে এরকম ভাবে কাউকে ডাকিনি সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকলেই যে সাড়া পাওয়া যাবে সেটাও হয়তো ভুলে গেছি মন থেকে;   আজকাল খুব বেশী শূন্যতাবোধ করি মনে-মনে, চারদশক একাই তো চলে এলাম এই পর্যন্ত, জ্যোৎস্না আর নিসর্গ নদীকে পিছে ফেলে, আলো ও আঁধারের সকল চিহ্ন আজও স্পষ্ট আমার শরীরে স্বপ্নের সিঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আজও দেখি সেই প্রিয় মুখগুলো,   চাঁদ আর ফাল্গুনের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য মেখে যাঁদের আমি বর্ণনা করেছি পঙক্তি র পর পঙক্তি জুড়ে, নিশীথের বাতাসে যে শোভা খেলা ক’রে আমার কোমল ইন্দ্রিয়ে, তাঁদের আমি ভুলিনি, স্মৃতির পাতায় আজও যাঁদের অম্লান ক’রে রাখি,   স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে ছোঁয়া মিশে থাকে আমার বিবর্ণময় টুকরো-টুকরো স্মৃতিতে;   বেশী কিছু বলার নেই ভাবনার জগত থেকে, মুছে গেছে সময়ের ব্যবধানে জীবনের সমস্ত উৎসব বিবর্ণ বিষণ্ণতায়, নিজেকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করেছি ভুলে কী থাকতে পারবো তাঁদের ছাড়া, শূন্যতার স্বপ্নজলে   যারা আমাকে নিয়ে গেছে রুপালী নিঃসঙ্গ নিবিড় সন্ধ্যায় !   উজ্জ্বল অপরূপ সৌন্দর্যময় যে আঙুলগুলো ক...

বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে

                   বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে, কয়েক দশক সময় ধ’রে                    উন্নত অনেক দেশের মতো সেও পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট লক্ষে                    বাঙলার সমস্ত ব্যাংক ভ’রে উঠছে ডলার-পাউন্ড আর ইয়েনে তার দিগ্বিদিক                  কানায় কানায় পূর্ণ সমস্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, উপচে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা                  তার সমস্ত রিজার্ভে, সুনিবিড় শিল্পের ছোঁয়া আজ হীরকখচিত মুদ্রায়                        কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতাব্দীর পর শতাব্দী ধ’রে যে স্বপ্ন দেখে আসছে      ...

প্রবন্ধঃ ব্যক্তিগত মৃত্যুশোক ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

‘মরণ রে, তুঁহুঁ মম শ্যামসমান                                          মেঘবরণ তুঝ, মেঘজটাজূট, রক্তকমলকর, রক্ত-অধরপুট, তাপবিমোচন করুণ কোর তব   মৃত্যু-অমৃত করে দান’।                         [ মরণ: কড়ি ও কোমল ] মৃত্যু, সর্বজনবিদিত সত্য। সব মিথ্যা হলেও, এর থেকে চরম আর কোনো সত্য থাকতে পারে না। কিন্তু এ-কথার ভার বহন করা অত্যন্ত জটিল। মানুষ যেমন জন্মগ্রহণ করেছে; ঠিক তদ্রুপ তাকে আবার বিদায় নিতে হবে। মৃত্যুর রূপ তারপরও মানুষের চিত্রে এসে ফু’টে উ’ঠে; সৌন্দর্য বিকাশ যেন তার মননে গেঁথে থাকে আপন সুরে। মানুষ যে জীবন নিয়ে মগ্ন থেকেছে তা কিন্তু নয়। মৃত্যু যে তার ভাবনাতে কখনও ছায়া ফেলেনি; তা কিন্তু বলা যাবে না। আলো ও রৌদ্র ছায়ার মতো তার সাথে মিশে ছিল ভাবনার জগতে। জন্মগ্রহণের পর ...

কবিতাঃ নিঃসঙ্গ হৃদয়

  ফিরে ফিরে বাতাসের কানে আসে কোমল সুর, যা কিছু আমার আপন ব’লে   মনে হয়, দু’চোখে গেঁথে থাকে উজ্জ্বল সৌন্দর্য, আমার মৌলিক ভাবনায়,   শুভ্র শ্রাবণ জলে কেঁপে উ’ঠে হারানো উষ্ণতা, অবিরত সময়ের সাথে আমাকে   নিয়ে যায় স্বপ্নজলে-ভাবনার একান্ত গভীরে; শোভাময় আমার নিসর্গের প্রবাহিত   ধারা অনন্ত চিন্তায় তাকে বাঁচিয়ে রাখি উজ্জ্বল সবুজে; প্রত্যহ হারিয়ে যাই অস্ত   দিগন্তের শেষ সীমায়, যেখানে অলৌকিক ব’লে কিছু নেই শূন্য অতীন্দ্রিয়   পবিত্র বাস্তবতায়, যাকে আমি রোপণ করি অত্যন্ত আদরে, আঙুলের ছোঁয়ায়   সেও মিশে থাকে শব্দের আদি ও অন্তে, গভীর আলিঙ্গনে ব্যক্তিগত সৌন্দর্য   বিছিয়ে দিই নিসর্গের মায়াবী টেবিলে, নীল স্মৃতি খেলে যায় পলিমাটির বু’কে;   বিষাক্ত হৃদয়ে বেড়ে উ’ঠে লাল-নীল-সবুজ স্বপ্ন আমার কারুকার্যময় কবিতার   পঙক্তিতে, শতাব্দীর তীব্র আবেগে হাহাকার ক’রে উ’ঠে আমার শিল্পকলার   সৌন্দর্যমণ্ডিত সমস্ত শ্লোক রূপান্তরিত বাস্তবতায়, রক্তগোলাপে ছড়িয়ে প’ড়ে       মুহূর্তেই পাঁচ আঙুল ভেদ ক’রে স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে, সমস্ত কোমলত...

কবিতাঃ অসমাপ্ত, একটি ব্যর্থ সংলাপ

সমবেত সকলে পদধ্বনি দিবেন ! আপনাদের পদধ্বনি আজ একান্তই কাম্য উদ্বেল আবেগে,   অনেক কথাই বলা হবে, মার্ক্স-লেলিন আর রবীন্দ্রনাথ থেকে   সমাজ, রাষ্ট্র, সভ্যতা আর তাঁদের আগামী দিনের স্বপ্নগুলো কত গভীরে যাবে;                   তা আজ এখান থেকেই নির্ধারিত হবে,   যে স্বপ্নগুলো বেঁচে থাকবে তাঁদের বু’কের গভীরে, আপন সত্ত্বায়- তাঁদের জ্যোতির্ময় পথে আমরা আলো জ্বালিয়ে দিব অনন্তকালের জন্য, নাকি গোলাপ ফুলের পথ বিছিয়ে দিব তাও নির্ধারিত হবে কঠিন শপথে;     সমস্ত কিছু ভেঙে চুরমার ক’রে আবার নতুন কিছু হবে কিনা তাও বলা হবে সহস্র স্বপ্ন নাকি আমাদের জীবনে সংগীত হ’য়ে ফু’টে উঠবে নিত্য              দিনের সাথে আজ ও আগামীতে চন্দ্রমল্লিকার বনে-বনে,     প্রাজ্ঞজন বলে উঠলেন- কেউ কোন উত্তর করলো না, নীরবে শুনে গেলেন   ক্ষণে-ক্ষণে স্বপ্ন ভাঙে আবার বিকালের আগেই তা মিশে যায় ভাবনার সাথে নীল হ’য়ে প্রতিমুহূর্তে, কেউ একজন এ-রকম বল...