সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কবিতা- মূল্যহীন ব্যর্থ সময়

  মূল্যহীন সব কিছু, আমার দু’চোখ দিয়ে যা দেখতে পাই, মূল্যহীন হ’য়ে প’ড়ে রয় অন্য সব কিছু থেকে, আমার হাতে লুকিয়ে থাকে নীল পদ্ম, তাও মূল্যহীন   আজ অনেক কিছুই মূল্যহীন, আমার সময়, স্পর্শ, সম্পর্ক- সব কিছু যেন মূল্যহীন তালিকায় দীর্ঘ হ’তে থাকে, ব্যর্থ সময় জড়ো হয় আমার কোমল শিশিরে, নিরর্থক তীব্র সম্পর্ক, গভীর শরীরে, মাঘের বাতাসে লুকিয়ে থাকে আমার সকল সম্পর্ক, রোদের ঝিলিক দিয়ে ফাগুন বাতাসে হারিয়ে যায় আমার সকল স্তব্ধতা, চুপচাপ আমার চতুর্দিক, লুকিয়ে থাকে বিশাল সরোবরে আপন হ’য়ে শব্দহীন বাতাসে, কেঁপে উঠি মধ্যরাতে কঠিন দুঃস্বপ্নে, কাঁপতে থাকে হৃদপিণ্ড থেমে-থেমে, আমার ব্যর্থ সময় মিশে যায় উত্তাল আশ্বিনে, টলমলে শিশিরে,
সাম্প্রতিক পোস্টগুলি

কবিতা-মধ্যদুপুর

             সব আলো ভেঙ্গে সেই দিনের আলো শেষ হ’য়ে আসে, তারপরও অবশিষ্ট থেকে যায়,   তার সামান্য কিছু আলো, যা দিয়ে হয়তো সারা             দিনের অবশিষ্ট আলো পূর্ণ হ’য়ে উঠে না, তারপরও থেমে গেছে, থেমে গেছে পরিপূর্ণময় উজ্জ্বল আলো তার চতুর্দিকে পৃথিবীর দিকে, সম্ভাবনাময় যা কিছু ক্ষনিকের জন্য আলোর বিচ্ছুরণের দ্রুতি,   তাও নিভে আসে আমার চতুর্দিকে উদ্ভাসিত সৌন্দর্য ছিঁড়ে যেন হারিয়ে যায় চোখের কোণ থেকে; আমি তাকিয়ে থাকি, ভাবতে থাকি অনেক কিছু, অম্লান চোখে প্রস্ফুটিত তার অবারিত ধারা যেন আমার দিকেই এগিয়ে আসে,   সব কিছু পিছে ফেলে-মধ্যদুপুর গড়িয়ে ধাবিত হ’তে থাকে অজানা কোনো এক   গাঢ় অন্ধকার আমার আপন সৌন্দর্যে-নির্দিষ্ট আবর্তে, ক্ষণে-ক্ষণে উড়ে যায় রচিত নষ্ট স্বপ্ন, কি সকাল বা সন্ধ্যায়, বুকের কোণ থেকে চিরদিনের মতো হারিয়ে যায় চেনা কণ্ঠস্বর, সব চেনা রাস্তাও আমার জন্য হ’য়ে   উ’ঠে বড় অচেনা, আপন ভেবে যেখানে পা রেখেছি কোমল হয়ে, ম্লান সুরে, তাদের পথে তো আমি যাইনি, যারা আমার সৌন্দর্যে আঘাত করেছে সকাল আর   সন্ধ্যায়, সব কিছু অলৌকিক ভেবে তারা চলে যায় স্বপ্নের গভীর থেকে আরও গভীরে, মধ্য

প্রবন্ধ ঃ নিষিদ্ধ কবিতা

সাহিত্যের বিভিন্ন ধারার মধ্যে থেকে কবিতা-গান আর নাটকেই স্বদেশ চেতনার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে সযেন সবচেয়ে বেশি। রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলের দিকে চোখ রাখলে সেটা যেন আরও অনেক বেশী স্পষ্ট হয়ে উঠে। গল্প ও উপন্যাসে সেই চেতনার প্রভাব রয়েছে খুবই কম। আবার এটাও দেখতে পাই যে, প্রবন্ধে তার কোন ছায়া নেই বললেই চলে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, সেই সব প্রবন্ধে, অনেকটাই রাজনৈতিক আলোচনা নির্ভর। যেভাবে স্বদেশ চেতনার কোন উপস্থিতি নেই। আবার এটাও সত্য যে, নাটকের চেয়ে দেশাত্মবোধক গানে, সেই চেতনার প্রকাশ ঘটেছে বিভিন্ন ভাবে, বৈচিত্র্যময় রূপে। যা অতি সহজে পৌঁছে যেতে পারে মানুষের একদম মনের গভীরে। যেন ফিরে আসা কোন সুর অতি সহজে বেঁধে দিয়ে যায় তার মননে। এ-কথা বলে নিতে পারি যে, স্বদেশী আন্দোলনের যুগে, এবং তার পরবর্তী সময়ে, স্বাধীনতা সংগ্রামে প্রচারিত সেই সঙ্গীত ও কবিতায় তার প্রভাব রয়েছে অনেক বেশী। নবীন সেনের পলাশী যুদ্ধের যুগ থেকে আধুনিক কালের নজরুল, প্রেমেন্দ্র, সুকান্ত পর্যন্ত এই ধারা মিশে রয়েছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে, বয়ে চলা কোন এক নির্দিষ্ট দিকে। নিষিদ্ধ ধারার দিক থেকে কেউ-ই যেন বাদ পড়েনি। কি কবিতা, কি গান বা উপন্যাস। সেই শুরু থেকে

কিশোর গল্পঃ দীপনের পেন্সিল

আমাদের ক্লাসটা কখনও এমন নীরব হয়ে উঠে না, আজ যেভাবে রয়েছে। সবাই খুব চুপচাপ। যেন কারও মুখ দিয়েও শ্বাস-প্রশ্বাস পড়ছে না। এতগুলো ছাত্র, কিন্তু কারও মুখে কোন কথা নেই। ক্লাসের চতুর্দিকে যেন একপ্রকার গভীর নীরবতা বয়ে যাচ্ছে। যদিও ক্লাসের এমন আচরণ কখনও কারও জন্য কাম্য হয়ে উঠে না। স্যার ক্লাসে ঢুকা মাত্রই সবাই যেন আরও বরফ হয়ে উঠল। না জানি কার কপালে আজ কি আছে। একজন আর একজনের মুখের দিকে শুধুই তাকিয়ে আছে। সাথে-সাথে সকলের বুকটা কেঁপে উঠছে। কিন্ত কোন কথা মুখ দিয়ে বের হচ্ছে না। স্যার অন্যদিনের তুলনায় খুবই গম্ভীর হয়ে আছেন। চেয়ারে বসে আবার একটু চুপ করে রয়েছেন। এবার ডাকলেন, ‘সুমন, তুই এদিকে আয় ?’ তাকে ডাকা মাত্রই সে উত্তর দেয়, স্যার, ‘আমি তো কিছু করিনি?’,  স্যার বলে, ‘আমি তো তোকে কিছু করার কথা বলিনি। তোকে এদিকে আসতে বলেছি।‘ ‘সুমন বলে, ‘স্যার, কাজটা কে করেছে তাও আমি জানি না।‘ স্যার বলে, ‘আমি তোর কাছে এত কথা শুনতে চায়নি। তুই এদিকে আয়।’ সুমন ভয়ে-ভয়ে ডেস্ক ছেড়ে স্যারের দিকে এগিয়ে যায়।  কিছু বুঝার আগেই, তার যে ডাক পড়বে সে কখনও তা ভাবেনি। মনে মনে সুমন ভাবতে থাকে, না জানি কি কপালে আছে! হোক না

কিশোর গল্পঃ ঘড়ির বোবা কান্না

ঘড়িও যে মানুষের মত কাঁদতে পারে এটা মিতু কখনও লক্ষ্য করেনি। তার মনোযোগ ওদিকে যাইনি বললেই চলে। ঘড়ি আবার কাঁদে ? একথা কাউকে বললে, তারা আমাকে পাগল বা মাথা খারাপ ছাড়া আর কিছুই বলবে না। কিন্তু ব্যাপারটি আমারও আগে জানা ছিল না। জানা থেকেও যেটি বেশি দরকার ছিল তা হলো খেয়াল করা। হয়তো আমি এবারের মত, এর আগে সেটি খেয়াল করিনি, তাও হতে পারে। ব্যাপারটি বুঝার পর আমি অন্য কারও সাথে আলাপ করিনি। আমার ভাল লাগে যে, অনেকদিন পর হলেও আমি নতুন একটি জিনিস আবিষ্কার করলাম। ব্যাপারটিকে কী আবিষ্কার বলা যাবে ? অন্যরা যা মনে করুক না কেন, আমার ভাষায়, আমার জন্য এটি একটি নতুন আবিষ্কার। ব্যাপারটি ভাবতেই আমার বেশ ভাল লাগছে। কিন্তু এখনতো অন্যদেরও বলতে হবে। কাকে প্রথম বলবো, তা ভাবতে-ভাবতে অনেকটা সময় আমার কেটে গেল। রাতুলকে বলি, ও আমার সব কথাই বিশ্বাস করে। ও জানে যে, আমি যা বলি বা করি তা কখনও মিথ্যা হয় না। কিন্তু যে ব্যাপারটি নিয়ে এত চিন্তা করছি, সেটা আবার একটু ভাল ভাবে পরীক্ষা করা উচিৎ নয় কী ? তাই, নিজে-নিজে আবার সিদ্ধান্ত নিই, আবার একটু মনোযোগ দিয়ে জিনিসটি লক্ষ্য করি। কিন্তু সমস্যা যে একটি আছে। তা কিভাবে সরাব। যদিও এটি তেমন

কিশোর গল্পঃ স্বপ্নের বাড়ী ও একজন সুখী মানুষ

পুকুর পাড়েই একক একটি বাড়ী। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা সেই বাড়ীটি। দেখলেই যেন আরও বেশী দেখতে ইচ্ছা করে। অনেকে চোখ মেলে বাড়িটিকে দেখে , অনেকে আবার ফিরেও তাকায় না। এ রকম চমৎকার বাড়ী সর্বদা সব জায়গায় দেখা যায় না। অনেক গ্রাম ঘুরেও , আমার মনে হয় এ রকম একটি সুন্দর বাড়ীর দেখা মিলবে কিনা কিঞ্চিত সন্ধেহ  আছে। এ-রকম বাড়ী অনেকে দেখেছে , আবার অনেকে দেখেনি। কেউ কেউ হয়তো স্বপ্নে দেখতে পারে। বাস্তবে এ-রকম একটি বাড়ী দেখা খুবই কষ্টকর। আবার অনেক সময় হঠাৎ করে দেখা মিলে। বাড়িটির চতুর্দিক দিয়ে শুধু সৌন্দর্য আর সৌন্দর্য। অনেক রকম সৌন্দর্যে পরিবেষ্টিত রয়েছে বাড়ীটি। তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যা-যা দরকার সবই যেন রয়েছে বাড়িটির চতুর্দিকে। সন্ধ্যার সময় ওখানটাতে গিয়ে দাঁড়ালে মনে হয় যেন এক অজানা দেশে চলে এলাম। রাতে যেন এক গভীর অন্ধকারের মধ্যে সে বাড়িটি এককভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঘন অন্ধকার যেন তাকে নিয়ে যাবে , তার অতলে। সেই বাড়িটির কোন সঙ্গী বা বন্ধু নেই , মানে তার আশে-পাশে আর কোন বাড়ী নেই। তার মত সে একাই দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির আশে-পাশের সমস্ত গাছগুলো যেন তার বন্ধু হ’য়ে , তার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ীটি বর্ষার সময় দাঁড়িয়ে থাকে ,

কিশোর গল্পঃ সাদা মেঘের ভেলা

নদীর পাশে, দাঁড়িয়ে থাকি একা-একা অনেকক্ষণ ধ’রে। আমার স্বপ্নের গভীর থেকে কে যেন আমাকে ডাক দিয়ে যায়, খুব নীরবে শান্ত ভাবে। তার কোনো শব্দই যেন আমার কানে পৌঁছে না। আমি তার কোনো উত্তর দিতে পারি না। আমি উত্তর দেওয়ার খুব যে চেষ্টা করি, তা-ও কিন্তু নয়। চুপ করে তাকিয়ে থাকি; বয়ে যাওয়া নদীর ঢেউয়ের দিকে। তার বহমান ধারার দিকে। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে যেন সব কিছু মুছে যাচ্ছে আমার দু’চোখের কোণ থেকে। আমি কি তাঁকে ধরে রাখবো ? তার সমস্ত সৌন্দর্য কি ধরা দিবে আমার মধ্যে ! আমার কি কিছুই বলার নেই এই সৌন্দর্য নিয়ে। নাকি শুধুই দেখে যাব, আমার চোখের কোণে, যা কিছু এসে জড়ো হয় আপন মনে। আমি কিছু বলি না। আসলে সেই মুহূর্তে আমার বলার মতো কিছুই ছিল না। সব শব্দমালা যেন আমার মধ্যে থেকে স্তব্ধ হ’য়ে মুছে যাচ্ছে। আমি চারিদিকে কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। কোন মানুষ নেই এখানে। আমি একা-একা দাঁড়িয়ে আছি। আমি কী আমাকেও দেখতে পাচ্ছি না ? হয়তো পাচ্ছি, হয়তো আবার পাচ্ছি না। কোন একটা তো অবশ্যই হবে। আমি অনেক টুকরো-টুকরো মেঘ দেখতে পাচ্ছি। তারা যেন সাদা আকাশটাকে তুলি দিয়ে রঙ করে যাচ্ছে, নিজের মতো করে। আর আমি সেদিকেই তাকিয়ে আছি অনেকক্ষণ ধ’রে। আমার