মসৃণ ভাবনার আকাশে, বেড়ে উঠা চেতনার সন্ধ্যাতারায় ঠাই নিই বেঁচে থাকার জন্য; জানি হয়তো হারিয়ে যাবো, ঐশ্বর্যময় মুহূর্তের জন্য; আবার হয়তো বেঁচে যেতে পারি কয়েক দশক; সত্য বা মিথ্যায় পরিণত হ’তে পারে আমার সকল ভাবনা নীরবে; তাদের আর বেঁধে রাখি না অন্যসকল সুত্রে, মানুষ যা খুব বেশী পছন্দ করে নিত্য চর্চায়; রক্তনালী বেঁয়ে ঝ’রে পড়ে সেই অমল সুর; গেঁথে যাওয়া অম্লান মেঘে আলো ও আঁধারে মিশে থাকে সবকিছু পরম উদ্দীপ্ত উল্লাসে; তাকে লালন করি আমার মৌনে; সব ছেঁড়ে প্রাণের অন্তরালে তাকে বলি, আরও গভীরে যাও; লাবণ্যের মুগ্ধময় পথ ধ’রে; ব’য়ে যাওয়া ঠোঁটের ছোঁয়ায়; ঘন সন্ধ্যা নামে আমার বু’কে; নষ্টদের সকল প্ররোচনা ধু’য়ে যাক অপার্থিব সৌন্দর্যে-সবুজে কারুকার্যময় সকল কিছু আজ আমার হোক পার্থিব মুহূর্তে; দিগন্তের শেষ সীমানায় পৌঁছে যাবো কেঁপে উঠা র...
মামুনুর রহমান, সমকালীন বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় সংবেদনশীল কণ্ঠ। তাঁর লেখায় জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোও নতুন এক আলোর আভায় ফু’টে ওঠে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কবিতা কেবল শব্দের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি সেই নীরব ভাষা, যা অন্তরের গভীরে বাস ক’রে, পাঠকের অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সঙ্গে মিশে এক অনন্য প্রতিধ্বনি সৃষ্টি ক’রে। তেমনি তাঁর গদ্য রচনা পাঠককে শুধু ভাবায় না, বরং অনুভব করায়, জীবনের ক্ষুদ্রতম ছোঁয়ায়ও গভীর মানসিক ধ্বনিতে স্পন্দিত ক’রে। তিনি খেয়াল রাখেন পাঠকের মন ও মননশীল দিকটি।