সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কবিতাঃ আমার স্বপ্নগুলো আমার চেয়ে বড়


আমার স্বপ্নগুলো আমার চেয়ে বড়, সে কথা বলে মৃদুসুরে আপন আলোয়;
বেঁড়ে উ’ঠে আমাকে ভর ক’রে, মিশে থাকে একান্ত গভীরে শব্দের সাথে,
ভালবাসার সব রঙে শরীর ছুঁয়ে যায় সমুজ্জ্বল উল্লাসে, নৈঃশব্দতার ঢেউ’য়ে 
সে অনেক চেষ্টা ক’রে আমাকে ছেঁড়ে আমার ছায়ায় বাসা বাঁধতে সুখনিদ্রায়,
নির্জন ভাষা তাকে দিয়ে যায় আকাশের প্রসারিত রুপ চন্দনের প্রতিশ্রুতে;
                 আমি মিশে যাই তার সাথে, ভাবনা আর চেতনা আমাকে নিয়ে যায় পৃথিবীর
অন্ধকার অববাহিকায় স্তব্ধ অরণ্যের মাঝে, স্বপ্নগুলো আমাকে নিয়ে ডুব দেয়

জোস্নার কোমল আলোয়, আপন মনে, কখনও আমাকে ছেঁড়ে চলে যায় দূরে;
                মিষ্টি রোদের পরম ছোঁয়া পেতে গভীর নির্জনে; হারানো পথে, সৌন্দর্যে গেঁথে
থাকে অতন্দ্রিত রাত; চক্ষুজুড়ে আলো আঁধারে মিশে থাকে লাল নীল কুয়াশা,  
                 সবুজ ঘাসের সৌন্দর্য অলৌকিকতায় বেজে উ’ঠে আপন কণ্ঠস্বরে, নীল জলে
শত স্নিগ্ধ প্রজাপতি উ’ড়ে যায় আমার বাহুতলে, একগুচ্ছ সবুজ উদ্ভিদে জন্ম
                নেয় আমার রচিত কাব্য ভালবাসার ভিন্নরূপে; পরম সম্পর্ক মুছে যায় মুহূর্তে,

রক্তের গভীর থেকে; ভেসে আসে শাদা মেঘের হাওয়া পরস্পরের আলিঙ্গনে;
                 আমার স্বপ্নের সাথে আমিও মিশে যাই প্রতিভার স্পর্শে চুম্বনের অমল পুস্পে,
                স্বপ্ন আর ঠোঁটের সাথে মিশে যায় চাঁদের অমল আলোয় দুর্লভ নক্ষত্রের স্বরে;
নিসর্গ প্রদীপ ম্লান হ’য়ে উ’ঠে নীল ছোঁয়ায়, সৌন্দর্য মেখে উ’ড়ে যায় দীর্ঘ বুকে
শূন্যতায় ভেসে উ’ঠে আমার অমল ভাবনা তার আপন সুরে; বস্তুর স্পর্শে গ’লে
গ’লে ঝ’ড়ে প’ড়ে রক্তকোমল নীল ভাবনায় আমার নিভে যাওয়া উজ্জ্বল অনলে,
আমার স্বপ্নগুলো আমার চেয়ে বড়; নীলিমায় রেখে যাওয়া টলোমলো শিশির।






মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রবন্ধঃ বিষ্ণু দে : ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ থেকে ‘চোরাবালি’

বিষ্ণু দে , তিরিশি কবিদের অন্যতম । কবিতা রচনাই যাঁর কাছে এক এবং অদ্বিতীয় হ ’ য়ে দেখা দেয় । কাব্যে সংখ্যার দিক থেকে অতিক্রম করেছেন সতীর্থদের । বিষ্ণু দে , যাঁর কবিতা রচনার সূচনা পর্বটিও শুরু হয় খুব দ্রুততম সময়ে । কবিতা সৃষ্টির পর্বটি অব্যাহত রেখেছেন সর্বদা । পঁচিশটি কবিতা নিয়ে ‘ উর্বশী ও আর্টেমিস ’- এ নিজেকে প্রকাশ করেন স্ব - মহিমায় । যে কবিতাগুলা বিস্ময়বিমুগ্ধ ক ’ রে অন্যেদেরকেও । ওই কবিতা শুধু বিষ্ণু দে ’ কে নয় , বরং নতুনতর হ ’ য়ে দেখা দেয় বাঙলা কবিতা । বিষ্ণু দে ’ র ‘ উর্বশী ও আর্টেমিস ’ রবীন্দ্রনাথকে পড়তে হয়েছিল দু ’ বার । ‘ উর্বশী ও আর্টেমিস ’- এর কবিতাগুলির রচনাকালের ব্যাপ্তি দেওয়া আছে ( ১৯২৮ - ১৯৩৩ ) সময়ের মধ্যে , এবং গ্রন্থকারে প্রকাশ পায় ওই একই বছরে অর্থাৎ , ১৯৩৩ - এ । কিন্তু রচনাকালের ব্যাপ্তি ১৯২৮ দেওয়া থাকলেও প্রকৃত পক্ষে এ সকল কবিতাগুলো রচনা পর্ব শুরু হয় আরো দু ’ বছর পূর্বে অর্থাৎ , ১৯২৬ - এ । যখন কবি হিশেবে বিষ্ণু দে একেবারেই নতুন এবং নবীন । ১৯৩৩ - এ ...

প্রবন্ধঃ অমিয় চক্রবর্তী : ‘বৃষ্টি’ নিয়ে তিনটি কবিতা

রবীন্দ্রনাথ, মেঘ-বরষা বৃষ্টি নিয়ে এতো সংখ্যক কবিতা লিখেছেন যে তাঁর সমান বা সমসংখ্যক কবিতা বাঙলায় কেউ লিখেনি। রবীন্দ্রনাথ, যাঁর কবিতায় বার বার এবং বহুবার ফিরে ফিরে এসেছে মেঘ, বরষা, বৃষ্টি। বৃষ্টি নামটি নিলেই মনে পড়ে কৈশোর পেড়িয়ে আসা রবীন্দ্রনাথের ওই কবিতাটির কথা। ‘দিনের আলো নিবে এল সূর্য্যি ডোবে ডোবে আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।’ বৃষ্টি নিয়ে কবিতা পড়ার কথা মনে পড়লে এটাই চলে আসে আমার মনে। অমিয় চক্রবর্তী বৃষ্টি নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু কবিতা। বাঙলায় বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখেনি এমন কবির সংখ্যা খুব কম বা নেই বললেই চলে। অমিয় চক্রবর্তী, যাঁর কবিতায় পাই ‘বৃষ্টি’ নামক কিছু সৌন্দর্যময় কবিতা। যে কবিতাগুলো আমাকে বিস্ময় বিমুগ্ধ ক’রে। ওই কবিদের কারো কারো কবিতা দ্রুত নিঃশ্বাসে পড়া সম্ভবপর হয়ে উঠে না। বৃষ্টি নামক প্রথম কবিতাটি পাওয়া যাবে অমিয় চক্রবর্তীর ‘একমুঠোতে’। উন্নিশটি কবিতা নিয়ে গ’ড়ে উঠে ‘একমুঠো’ নামক কাব্য গ্রন্থটি। যেখান থেকে শ্রেষ্ঠ কবিতায় তুলে নেওয়া হয় চারটি কবিতা। আমার আরো ভালোলাগে ‘বৃষ্টি’ কবিতাটি ওই তালিকায় উঠে আসে। শ্রেষ্ঠ কবিতায় না আসলে আমার যে খুব খারাপ লাগতে তা-ও নয়। ওই কবিতা...

প্রবন্ধঃ বুদ্ধদেব বসু ও ‘কঙ্কাবতী’

বুদ্ধদেব বসু প্রেমের অজস্র কবিতা রচনা করেছেন । অন্য অনেকের মতো তিনিও বেছে নেন একজন প্রেমিকাকে , যে হ ’ য়ে উঠে বুদ্ধদেবের অতুল্য প্রেমিকা হিশেবে । ‘ কঙ্কাবতী ’ অনিন্দ্য প্রেমিকা হ ’ য়ে বুদ্ধদেবের কাব্যতে বিচরণ ক ’ রে স্বচ্ছন্দে । স্থির হয়ে বসে পড়ে কঙ্কাবতী ’ কাব্যগ্রন্থে । যে কাব্যগ্রন্থে ‘ কঙ্কাবতী ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে ‘ কঙ্কাবতীকে ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে কঙ্কাবতীকে আমরা দেখতে পাই অন্য কোনো কবিতায় । যেখানে সে প্রেমিকার কাছে হয়ে ওঠে কুৎসিত কঙ্কাল ব্যতীত অন্য কিছু নয় । প্রগাঢ় ভাবে প্রাপ্তির জন্যে সমস্ত কবিতা জুঁড়ে দেখতে পাই কবির অপরিবর্তনীয় আবেদন । কঙ্কাবতী , যাঁর সাথে কিছু বাক্য বিনিময়ের জন্যে রক্তের হিমবাহে দেখা দেয় চঞ্চলতা । সুপ্রিয়া প্রেমিকা মুখ তোলা মাত্র কবি হাঁরিয়ে ফেলেন ওই সৌন্দর্যময় বাক্যগুলো , যা বলার জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন কবি দীর্ঘদিন । প্রেমিকা যখন খুব কাছাকাছি হয়ে এগিয়ে আসেন , ওই ব্যর্থ ...