অনেক দিন কেঁপে উঠি না গভীর সৌন্দর্যের উজ্জ্বলতর ছড়ানো দিনে, ভাবনার কল্পিতশরীরে, যারা চলে গেছে বিস্ময়কর সকল সম্পর্ক নিস্তদ্ধতা র রঙে ধুয়ে-মুছে দিয়ে; তাদেরই হৃদয়ের অলৌকিক ভাবনার রূপান্তরিত সকল মর্মরধ্বনি র আপন মহিমায় বেজে উ’ঠে উজ্জ্বল সোনার আলোয় কল্পনার কঠিন তুলিতে, সীমাহীন অনুভূতির আশ্চর্য শূন্যতায় গেঁথে থাকে অমল রাত্রির বিস্ময়কর সৌন্দর্যপবিত্র দিনে। অনেকদিন কেঁপে উঠি না সীমাহীন ভাবনায় সাধারণ মানুষের মতো দীপ্তিমান উজ্জ্বলতর আশ্চর্য চেতনায়; যারা রূপান্তরিত করেছে সকল মৌনতার সুর, অর্থহীন শিল্পকলায় আদিগন্ত বিস্ময়কর ব’য়ে যাওয়া স্রোতে নক্ষত্রপুঞ্জের গলিত স্বপ্নে; মর্মরধ্বনি উন্মুখ সকল ঐশ্বর্যে; কল্পনার তুলিতে তাঁদেরই নিয়ে নিই যারা অনুভূতির সর্বত্র ছড়িয়ে দেয় আমার ব্যথিত হৃদয়ে পঙ্কজের দিক চিহ্নহীন অমল পাপড়িতে। অনেকদিন কেঁপে উঠি না আশ্চর্য সুখ বু’কে নিয়ে নিস্তব্ধতার হিমে; জ্যোতির্ময় ঝ’রে পড়া কঠিন হৃদপিণ্ডে রূপালি জলে আপন আলোয় বিগলিত অকস্মাৎ নিবিড় ছোঁয়ায় মেঘমালার নিঃশব্দের নীল মেঘে, অমল সৌন্দর্য আমার নীল প্রজ্জলিত আদিম উৎসবে সঙ্গীতের সুরে; রক্তজবা ফ...
মামুনুর রহমান, সমকালীন বাংলা সাহিত্যের এক অদ্বিতীয় সংবেদনশীল কণ্ঠ। তাঁর লেখায় জীবনের সাধারণ মুহূর্তগুলোও নতুন এক আলোর আভায় ফু’টে ওঠে। তিনি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন, কবিতা কেবল শব্দের খেলায় সীমাবদ্ধ নয়; এটি সেই নীরব ভাষা, যা অন্তরের গভীরে বাস ক’রে, পাঠকের অভ্যন্তরীণ অনুভূতির সঙ্গে মিশে এক অনন্য প্রতিধ্বনি সৃষ্টি ক’রে। তেমনি তাঁর গদ্য রচনা পাঠককে শুধু ভাবায় না, বরং অনুভব করায়, জীবনের ক্ষুদ্রতম ছোঁয়ায়ও গভীর মানসিক ধ্বনিতে স্পন্দিত ক’রে। তিনি খেয়াল রাখেন পাঠকের মন ও মননশীল দিকটি।