ভেসে যাচ্ছ তুমি আকাশ থেকে আকাশে,
সাদা মেঘমালার গভীর
অভ্যন্তরে, সবুজ উদ্ভিত ভেদ ক’রে
জেগে উঠছে তোমার সৌরভময় শ্রুতি;
শুভ্র নির্মল লাল আকাশ,
নীল আকাশ,
সুগভীর
সম্পর্ক
স্বপ্নময় হ’য়ে উ’ঠে।
অনর্গল প্রবাহিত হয়েছো অনৈসর্গিকের
দিকে ,
যেখানে রোদ,
বৃষ্টি,
কুয়াশা,
শিশির,
অরণ্য
কোনো কিছুই নেই।
অনিন্দ্য যুবরাজ থেকেছো অন্তরিত।
ছড়িয়েছো
চন্দনের প্রলাপ;
হৃদয়ের অভ্যন্তরে নিয়েছো
লবঙ্গের জল,
উদ্ভিত হ’য়ে উঠে পাললিক শিলা,
বাঙলার ভূভাগে রেখে যাওনি
কোন মোহনীয় সুসম্পর্ক,
যার জন্য আবার প্রত্যাবর্তন
করতে পারো এখানে।
জ্যোৎস্নাময়
স্নিগ্ধ রাত কখনো তোমার জন্য হ’য়ে ঊঠে
কৃত্তিমত্তায় উদ্ভাসিত।
বাঙলার কীর্তনখোলা, শীতলক্ষ্যা,
মধুমতী, কর্ণফুলী, দুধকুমার
পেড়িয়ে তুমি পাড়ি জমাও
পশ্চিমের সুদূর কোনো দেশে !
যেখানে তুষার স্তূপ পর্বতগাত্র
বেয়ে নিম্ন দিকে ধাবিত
হ’তে থাকে,
কখনও কখনও ওই শীতলতা তোমাকে
ক’রে
তুলেছে আরো গভীর হিমশীতল। অনির্বচনীয় স্বপ্নময়তা,
নিসর্গে
ফিরে যাক
প্রবাহিত ধারায়,
চন্দনের প্রলাপ আজ জরাজীর্ণ
স্মৃতি। স্বপ্নময়তাকে
আলো আঁধারে
ক’রে তুলেছো আরও নিবিড় দীপ্তিময়।
জ্যামিতিক কাঠামোতে আবর্তিত,
কৃষ্ণচূড়ার লাল মেঘ
তোমারই, বিচ্ছিন্ন কোনো পথ
তোমার আজ জানা নেই;
যেখানে ছড়াতে
পারো মৃদু আঙুলের সুরের কম্পন।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন