সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কবিতাঃ অনেকদিন কেঁপে উঠি না



অনেক দিন কেঁপে উঠি না গভীর সৌন্দর্যের উজ্জ্বলতর ছড়ানো দিনে,
ভাবনার কল্পিতশরীরে, যারা চলে গেছে বিস্ময়কর সকল সম্পর্ক
নিস্তদ্ধতার রঙে ধুয়ে-মুছে দিয়ে; তাদেরই হৃদয়ের অলৌকিক ভাবনার
রূপান্তরিত সকল মর্মরধ্বনির আপন মহিমায় বেজে উ’ঠে উজ্জ্বল
সোনার আলোয় কল্পনার কঠিন তুলিতে, সীমাহীন অনুভূতির আশ্চর্য
শূন্যতায় গেঁথে থাকে অমল রাত্রির বিস্ময়কর সৌন্দর্যপবিত্র দিনে।

অনেকদিন কেঁপে উঠি না সীমাহীন ভাবনায় সাধারণ মানুষের মতো
দীপ্তিমান উজ্জ্বলতর আশ্চর্য চেতনায়; যারা রূপান্তরিত করেছে সকল
মৌনতার সুর, অর্থহীন শিল্পকলায় আদিগন্ত বিস্ময়কর ব’য়ে যাওয়া
স্রোতে নক্ষত্রপুঞ্জের গলিত স্বপ্নে; মর্মরধ্বনি উন্মুখ সকল ঐশ্বর্যে;
কল্পনার তুলিতে তাঁদেরই নিয়ে নিই যারা অনুভূতির সর্বত্র ছড়িয়ে
দেয় আমার ব্যথিত হৃদয়ে পঙ্কজের দিক চিহ্নহীন অমল পাপড়িতে।

অনেকদিন কেঁপে উঠি না আশ্চর্য সুখ বু’কে নিয়ে নিস্তব্ধতারহিমে;
জ্যোতির্ময় ঝ’রে পড়া কঠিন হৃদপিণ্ডে রূপালি জলে আপন আলোয়
বিগলিত অকস্মাৎ নিবিড় ছোঁয়ায় মেঘমালার নিঃশব্দের নীল মেঘে,
অমল সৌন্দর্য আমার নীল প্রজ্জলিত আদিম উৎসবে সঙ্গীতের সুরে;
রক্তজবা ফু’টে উ’ঠে শিশিরের ছোঁয়ায় কোমল ঠোঁটে ভরা বৃষ্টিতে
নিসর্গ সবুজে বেঁচে থাকে গ’লে পড়া সন্ধ্যার কুয়াশার সাদা হিমে।

অনেকদিন কেঁপে উঠি না উপলব্ধিময় একাকী বসে থাকা সীমানায়
চতুর্দিকে র’য়ে গেছে সৌন্দর্যের পরিপূর্ণতায় হৃদয়ের উল্লসিত নীল
স্রোতের উজ্জ্বল আলোর দিগন্তের প্রসারিত ছায়া; নিভৃতে প’ড়ে রই
ভাবনার শরীরে জ’মে থাকা কেঁপে-কেঁপে উঠা রোদনের কষ্ট ব’য়ে
যায় প্রাত্যহিক নির্বাসিত সোনালি জীবনে; নিসর্গমালা তাঁদের নিয়ে
যায় আমার হারানো আঁখিপাতে স্নিগ্ধময় গভীর মানবিক সম্পর্কে।



মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রবন্ধঃ বুদ্ধদেব বসু ও ‘কঙ্কাবতী’

বুদ্ধদেব বসু প্রেমের অজস্র কবিতা রচনা করেছেন । অন্য অনেকের মতো তিনিও বেছে নেন একজন প্রেমিকাকে , যে হ ’ য়ে উঠে বুদ্ধদেবের অতুল্য প্রেমিকা হিশেবে । ‘ কঙ্কাবতী ’ অনিন্দ্য প্রেমিকা হ ’ য়ে বুদ্ধদেবের কাব্যতে বিচরণ ক ’ রে স্বচ্ছন্দে । স্থির হয়ে বসে পড়ে কঙ্কাবতী ’ কাব্যগ্রন্থে । যে কাব্যগ্রন্থে ‘ কঙ্কাবতী ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে ‘ কঙ্কাবতীকে ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে কঙ্কাবতীকে আমরা দেখতে পাই অন্য কোনো কবিতায় । যেখানে সে প্রেমিকার কাছে হয়ে ওঠে কুৎসিত কঙ্কাল ব্যতীত অন্য কিছু নয় । প্রগাঢ় ভাবে প্রাপ্তির জন্যে সমস্ত কবিতা জুঁড়ে দেখতে পাই কবির অপরিবর্তনীয় আবেদন । কঙ্কাবতী , যাঁর সাথে কিছু বাক্য বিনিময়ের জন্যে রক্তের হিমবাহে দেখা দেয় চঞ্চলতা । সুপ্রিয়া প্রেমিকা মুখ তোলা মাত্র কবি হাঁরিয়ে ফেলেন ওই সৌন্দর্যময় বাক্যগুলো , যা বলার জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন কবি দীর্ঘদিন । প্রেমিকা যখন খুব কাছাকাছি হয়ে এগিয়ে আসেন , ওই ব্যর্থ ...

প্রবন্ধঃ অমিয় চক্রবর্তী : ‘বৃষ্টি’ নিয়ে তিনটি কবিতা

রবীন্দ্রনাথ, মেঘ-বরষা বৃষ্টি নিয়ে এতো সংখ্যক কবিতা লিখেছেন যে তাঁর সমান বা সমসংখ্যক কবিতা বাঙলায় কেউ লিখেনি। রবীন্দ্রনাথ, যাঁর কবিতায় বার বার এবং বহুবার ফিরে ফিরে এসেছে মেঘ, বরষা, বৃষ্টি। বৃষ্টি নামটি নিলেই মনে পড়ে কৈশোর পেড়িয়ে আসা রবীন্দ্রনাথের ওই কবিতাটির কথা। ‘দিনের আলো নিবে এল সূর্য্যি ডোবে ডোবে আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।’ বৃষ্টি নিয়ে কবিতা পড়ার কথা মনে পড়লে এটাই চলে আসে আমার মনে। অমিয় চক্রবর্তী বৃষ্টি নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু কবিতা। বাঙলায় বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখেনি এমন কবির সংখ্যা খুব কম বা নেই বললেই চলে। অমিয় চক্রবর্তী, যাঁর কবিতায় পাই ‘বৃষ্টি’ নামক কিছু সৌন্দর্যময় কবিতা। যে কবিতাগুলো আমাকে বিস্ময় বিমুগ্ধ ক’রে। ওই কবিদের কারো কারো কবিতা দ্রুত নিঃশ্বাসে পড়া সম্ভবপর হয়ে উঠে না। বৃষ্টি নামক প্রথম কবিতাটি পাওয়া যাবে অমিয় চক্রবর্তীর ‘একমুঠোতে’। উন্নিশটি কবিতা নিয়ে গ’ড়ে উঠে ‘একমুঠো’ নামক কাব্য গ্রন্থটি। যেখান থেকে শ্রেষ্ঠ কবিতায় তুলে নেওয়া হয় চারটি কবিতা। আমার আরো ভালোলাগে ‘বৃষ্টি’ কবিতাটি ওই তালিকায় উঠে আসে। শ্রেষ্ঠ কবিতায় না আসলে আমার যে খুব খারাপ লাগতে তা-ও নয়। ওই কবিতা...

প্রবন্ধঃ সুধীন্দ্রনাথ দত্তের প্রবন্ধ সংগ্রহ

সুধীন্দ্রনাথ , সাতটি কাব্যগ্রন্থের মতো সাতটি প্রবন্ধের গ্রন্থ লিখলে খারাপ হতো না , বেশ ভালোই হতো । সুধীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগুলো হালকা মানের নয় , যদিও তাঁর কোন রচনাই হালকা নয় । সাহিত্যে বিচারে তা অনেক উঁচুমানের । তার উপর ভাষার ব্যাপারটি তো রয়েছেই । সুধীন্দ্রনাথ মাত্র দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেছেন । গ্রন্থ দুটো ‘ স্বগত ’ ( ১৩৪৫ ঃ ১৯৩৮ ), অপরটি ‘ কুলায় ও কালপুরুষ ’ ( ১৩৬৪ : ১৯৫৭ ) । ‘ স্বগত ’- তে রয়েছে ষোলটি প্রবন্ধ । গ্রন্থ দুটি তিনি রচনা করেছেন দু ’ ভাগে । লরেন্স বা এলিয়ট এর প্রবন্ধ যেমন পাওয়া যাবে না ‘ কুলায় ও কালপুরুষ ’- এ ; তেমনি রবীন্দ্র সম্পর্কিত প্রবন্ধ নেওয়া হয়নি ‘ স্বগত ’- এ । প্রকাশ কাল অনুযায়ী ‘ স্বগত ’- এর প্রবন্ধসমূহ : ‘ কাব্যের মুক্তি ’ ( ১৯৩০ ); ‘ ধ্রুপদ পদ - খেয়াল ’ ( ১৯৩২ ), ‘ ফরাসীর হাদ্য পরিবর্তন ’ ( ১৯৩২ ), ‘ লিটনস্ট্রেচি ’ ( ১৯৩২ ), ‘ লরেন্স ও ভার্জনিয়া উল্ফ্ ’ ( ১৯৩২ ), ‘ উপন্যাস তত্ত্ব ও তথ্য ’ ( ১৯৩৩ ), ‘ উইলিয়ম ফকনর ’ ( ১৯৩৪ ), ‘ ঐতিহ্য ও টি , এস , এলিয়ট ’ ( ১৯৩৪ ), ...