সব কথাইতো তোমাকে বলা হলো
আমার শৈশব, কৈশোর আর তার বেড়ে উঠা
মধ্যে তিরিশে দু’চোখে জমানো
বিষাদের গাঁথা,
আত্মার বিষাদময় বিষণ্ণতায়
জ্যোৎস্নার আলো আর
বৃষ্টির ফোঁটায়
কেঁপে কেঁপে উঠা আমার গ’লে যাওয়া
হারানো সন্ধ্যায় ঝ’রে
পড়া প্রগাঢ় নক্ষত্রের অপরূপ
প্রসারিত স্বপ্নের উজ্জ্বলে
খ’সে পড়া ভাবনার কথা;
আমার
মৌনতা সবুজ উদ্ভিদ আর নিজস্ব সুরে ক্ষণিকের ম্লান
ছোঁয়ায় একান্ত আলিঙ্গনের রক্তিম
গাঢ় দুঃখময় বিষাদের নিবিড়
নীল স্মৃতির পলিমাটি
ভেদ ক’রে ক্রমশ যে বেড়ে উ’ঠে মুহূর্তে;
নিশীথের সন্ধ্যার কুয়াশায় গলিত অশ্রুকণায় শাদা
হিমে অলৌকিক
নিজস্ব গোলাপে গেঁথে
থাকা তৃষ্ণার কোমল সুরের ঐকতানে
ছুঁয়ে যাওয়া শিশিরের
জলে নক্ষত্রের গভীর ভাবনার সবুজ বনে,
নীলাকাশে হেমন্তের বাতাস ব’য়ে যাওয়া গাঢ় সন্ধ্যায়
মৌলিক
ভাবনার চিত্তে ভেসে
আসা নিঃসঙ্গ রাত্রিতে জেগে উঠা স্বপ্নের কথা
হৃদয়ের নির্মমতা, কি বিস্ময় প্রেমিকাদের হৃদয়ের
আঘাত,
সোনালী সন্ধ্যায়
প্রোজ্জ্বল ভাবনার গভীরে, নীল ছোঁয়ায়
নিদ্রাহীন সারারাত কেটে
গেল একাকী, গভীর ধ্যানে
প্রেমিকাদের নরম চুল
উ’ড়ে গেল বুকের গভীরে একাকী মেঘের
হাওয়ায় বিদ্যুৎ খেলে
যায় উত্তরের বাতাসে গানের সুরে সুরে;
কালো জলের গভীরে জমে থাকে তার
প্রতিচ্ছবি;
আমার নিশীথের প্রসারিত
সবুজ হিমে, অশ্রুবিন্দুর ফোঁটায়
চাঁদ ও জ্যোৎস্নার স্নিগ্ধ অমলতায় রাত্রির আকাশে
ভেঙে পড়া
পুণ্যময় শ্লোক, পবিত্র সম্পর্ক, মেঘমালা, গাঢ়
নীলবন আর পুঞ্জ-পুঞ্জ
ঝ’রে পড়া জ্যোতির্ময়
নির্মম আলো ঢেউয়ের মতো ব’য়ে যায় জ্যোৎস্না
ও চাঁদের সাথে; এলোমেলো
অলৌকিক স্বপ্নের আঙুলের ঐন্দ্রজালিক
সুরে সুরে খেলা ক’রে
যায় আমার নদীর ঢেউয়ের সাথে পরম সম্পর্কে
নির্জন ভাবনার গভীরে, যার পদতলে সমস্ত পৃথিবীর
রঙ বিলিয়ে
দিলাম আপন সৌরভে
উজ্জ্বল আলোকিত আভায় ভেঙে পড়া
সোনালী মধ্যেদিনে, বৃষ্টির ফোঁটায় বুকের কোণে
জেগে উঠা
রক্তের সমুজ্জ্বল অপার স্বপ্নের গভীরে
প্রোজ্জ্বল নিবিড়তা স্থির
শব্দহীন নদীর ঢেউয়ের সাথে চৈতন্যের
বিহ্বল নির্জন মর্মরে;
চাঁদের স্থির আলোয় অবিচল
মিশে যাওয়া নীলিমায়, অবক্ষয়,
কৃষ্ণপক্ষ আর
পূর্ণিমায় লাবণ্য ঝরা সরোবরে ডুবে গেল অমল
পুণ্যময় জলে তার সকল
সৌন্দর্য অপার পার্থিবের ভিন্নরূপে,
রক্তিম আভাসে তারা
আমাকে দিয়ে গেল স্বপ্নিল স্পর্শময় দেহ
ঠোঁট আর কালো চুলের গ’লে পড়া আমার কোমলময় শরীর
মাঘ আর ফাল্গুনের মধ্যেদুপুরে ঝ’রে
পড়া আমার মধুময়
সুধার কথা, যাকে
দু’চোখের মধ্যে গেঁথে রাখি, গ’লে পড়া
আঁখিতাঁরার মতো জ’মে
থাকা করুণ অশ্রুমালার সন্ধ্যার
বাতাসে, রক্তাক্ত হৃদয়ের গভীরে যারা লুকিয়ে
ছিল
তাদের শাদা হাত প’ড়ে
রইলো আমার বুকের গভীরে;
রৌদ্রময় নীলিমার শান্ত বাতাসে সুবর্ণ উজ্জ্বলের
প্রবাহিত ধারায়
পরিচ্ছন্ন সমতলে বিলুপ্ত
জলের বিস্তীর্ণ শীতল হিল্লোলে কৃষ্ণপক্ষ
দীপ্তির উদ্ভাসে লাবণ্য
ঝ’রে যায় স্নায়ুর ঐন্দ্রজালিক বিষণ্ণতায়,
আমার ভেঙে পড়া নীল কণ্ঠে, টলোমলো জলের প্রবাহিত
ধারায়,
পৃথিবীর ছায়ায় তাদের
আমি ক’রে তুলি আত্মার পরম আত্মীয়,
শিশিরের ভালোবাসায় যারা
ছুঁয়ে যায় মুগ্ধ করা শোকার্ত বাণী;
আমার মায়াবী কল্পনায় ছুঁয়ে যায় মর্মমূলের জ্যোতির্ময়
রুপালী
স্বর্গছায়া, কঠিন
ধূসরদিনে শুভ্রমেঘমালায় শূন্য থেকে শব্দহীন
ঊর্ধ্বমুখ আমার গলিত
তুষারে নেমে আসে প্রবাহিত নদী;
অনিশ্চিত শ্রাবণধারা অন্তরালে জ’মে থাকে বিষ
তারই অন্তরে
মুহূর্তে লুপ্ত হ’য়ে
যায় ম্লান সবুজের বিশাল বাতাসে হারানো সুরে;
আকাশ আর নক্ষত্র
বাধা পড়ে আমার নিঃসঙ্গতায়; আবর্তিত ভাবনায়
আশ্চর্য, অনন্ত
শূন্যতা, আমার নির্বাক পল্লবের হিমে, প্রজ্ঞাময় ধ্যানে
সমুদ্রের সমতলে
জলরাশির বিকীর্ণ তরঙ্গের পর তরঙ্গের বুকে রইলো
প্রতিভা উদ্যম আর সংঘাতময়
প্রতীক্ষা বিচূর্ণ পরিত্যক্তময় বিস্তীর্ণ ভূমিতে;
বিন্দুতে মিশে আসে নিঃসঙ্গ অনুশোচনা ব্যর্থ
ভাবনার
শিউরে উঠা
কল্পকাহিনী আবৃত ধ্বসে পড়া রাত্রি,
অস্পষ্ট আঁধারে নেমে আসে
উত্তরের করুণ হাওয়া
মায়াবী নদী ব’য়ে যায়
মুহূর্তেই রূপসীর প্রবাহিত বাহুতে
নির্বোধ ভাবনার অশ্রুর
করুণ প্রান্তের আবর্তনে;
দিকচিহ্নহীন নদী
সরোবরে আমার শরীর ধুয়ে যায়
অলৌকিক জলে, অবলুপ্ত
বিমর্ষ ক্লান্তির নীল জলে
স্মৃতি খেলা ক’রে নির্মম
পবিত্রতায়; কেঁপে কেঁপে
উঠে ভেঙে পড়া চন্দ্রালোকের
নীল জ্যোৎস্নার অপার
সন্ধ্যায়; নির্জন
সৌরভে ভেসে উঠে গাঢ় অর্থময় গভীর
শব্দের ঝংকারে
শাশ্বত ঝ’রে পড়া নিসর্গের নির্জনে,
পবিত্র নগরী থেকে
বেড়িয়ে পড়া নিবিড় বিচ্যুত সম্পর্কে
রক্তহিমে তারা বেঁচে আছে
আমার হৃদপিণ্ডের নিবিষ্ট মৌনে
শূন্যতার জলতরঙ্গের
নীল মাটিতে, তরঙ্গরাশির নির্ঝর
স্বপ্নজলে উষ্ণতাপের
সঙ্গীতের আপন সোনালী অশ্রুজলে;
আমি সর্বদা তার একান্তই
অনুগামী স্বাধীন বুকের প্রান্তে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন