তোমাকে দেওয়া হ’লো রূপ, স্বর্ণখচিত সৌন্দর্য অবয়বে
রঙিন
আলোতে ভ’রে এলো আমার আঁখিকোণ, মঞ্চে
এসে পড়লো বিচ্ছুরিত আলোককণা তোমার পবিত্রতায়।
কতো কীর্তিমান প’ড়ে রইলো তোমার পদতলে, যারা
সাহসী, সৌন্দর্যময়ী আর সফল ব’লে কিংবদন্তী রয়েছে
সমাজ সভ্যতায়। গাঢ়সন্ধ্যায়
আমি তোমার দিকে এগিয়ে
যাই আগন্তুকের মতো, নিদিষ্ট
কোনো গন্তব্য জানা নেই,
তোমার আলোকিত আলোয়, ভ’রে
এলো আমার মসৃণ
শরীর, নিসর্গের মৃদু পদপাতে,
কোমল শিশিরের ছোঁয়ায়।
নীরবতা ভেঙে চতুর্দিকে ভ’রে
গেল সঙ্গীতের করুণ সুর,
আমার অমল সন্ধ্যায়, নীলবীথির
হৃদপিণ্ডে গেঁথে নিই বিষ,
আমি আরো এগিয়ে যাই, সমস্ত
জ্যোতির্ময় সৌন্দর্যকে পিছে
ফেলে ভাবনার গভীরে।
নারীপুরুষের অব্যক্ত সংলাপে ভেসে
উ’ঠে চতুর্দিক। লাল নীল
সবুজ জ্যোতির্ময় আলোয় মুহূর্তে
ভ’রে উ’ঠে জীর্ণ সরু পথ,
চারিদিক ভ’রে এলো তরঙ্গরাশি
আমার কম্পিত অবয়ব কেঁপে উ’ঠে
তার সকল সৌন্দর্যে,
তাঁরা তোমার বক্ষে দিল অপার
হিরে-মাণিক্য খচিত সৌন্দর্য
অবয়বে মসৃণতা, শিল্পীর
স্বাধীন ছোঁয়া, তোমার কঠিন রূপ
আমাকেও বিহ্বল ক’রে তোলে, জ্যোতির্ময়
সৌন্দর্য আমাকেও
নিয়ে যায় নিসর্গ ভাবনায়,
হারানো স্বপ্নে। ভুলে গেলাম তার
অতীত বর্তমান আর ভবিষাৎ,
নারীরা গেঁয়ে উঠলো পবিত্র
শ্লোক পুণ্যময় প্রাণে
হৃদয়ের গভীরে, পুরুষ দিলো অভয়বাণী
তার দিকে দিকে।পদস্খলে তাদেরই
নিলে, একদা যারা
তোমারই অনিষ্ঠ কামনা করে
হৃদয়ের মর্মে। আমি হেঁটে
যাই একাকী, নিঃসঙ্গ মননে। জেগে
উ’ঠে তার শ্রুতিতে
অপার সঙ্গীত। আমি আরো এগিয়ে
যাই, দিক্বিদিক
শূন্যলোকে, হারানো অশ্রুতে
গেঁথে থাকে সুর। তোমার
দিকে দিকে কেঁপে উঠে আমার রক্তিম
ঠোঁট, স্পর্শহীন
ভাবনায়, শূন্যতার মুখোমুখি,
বিশাল ব্যাপক শ্রাবণজল।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন