স্মৃতিগুলো বড় করুন আর দীর্ঘ হ’তে থাকে আমার তীব্র ভালোবাসার আবেগে;
তাদেরকে আমি চিনি না, যাদের সাথে কথা বলি মনে-মনে, কোমল স্বরে নির্মলে
সকাল কিংবা মধ্যে দুপুরে; কোনো
কিছুই শূন্যতা ও নিরর্থক ছাড়া আর কিছুই না;
তারপরও নিঃসঙ্গ হ’য়ে মিশে যাই প্রোজ্জ্বলিত সেই আলোর সাথে কেঁপে-কেঁপে;
স্মৃতিকাতর ভাবনাগুলো সুগভীর হ’তে থাকে শিশিরের ফোঁটায়, হলুদ বনে নিরন্তর
ঝ’রে পড়া নষ্ট শরীরে,
সৌন্দর্যের সব কিছুই যেন হৃদপিণ্ডে গেঁথে থাকে মৃদু হ’য়ে;
শিউলির বোঁটায় ছুঁয়ে যায়
শিল্পের নির্মল স্পর্শ, বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকি কোনো এক
ছায়ার দিকে, যে আমারই হ’য়ে কথা
ব’লে অন্যর সাথে; সুস্থির সেই পথগুলো
যা অনেকটা আমার অচেনা, অনিশ্চিত
দিনে অদ্ভুত ডানায় উ’ড়ে যায় সাদা মেঘ;
আমার দু’ঠোঁটে কে এঁকে যায় চিত্রকল্পের
খোঁদাই করা কঠিন সৌন্দর্য নিটোল
ছোঁয়ায় মনের স্তরে-স্তরে, প্রার্থনার
সকল অর্থ যেন বাস্তব হ’য়ে ফুটে উঠে নির্ভয়ে;
উজ্জ্বল জ্যোতির্ময় দিনে সব
কিছু যেন মুহূর্তে হারিয়ে যায় আমার গভীর শূন্যতায়
হারিয়ে ফেলি প্রাজ্ঞ উপলব্ধি,
কোনো এক ভাবনার অতলে, রোদের ঝিলিক ছুঁয়ে
যায় আমার বাড়ন্ত শরীরে, মাঝরাতে
দুঃস্বপ্নে কেঁপে উঠি গভীর এক শূন্যতা নিয়ে;
স্তব্ধতা যেন খুঁজে নেয় তার
আপন পথ নির্দিষ্ট গন্তব্যেয়, জ্যোৎস্নায় দাঁড়িয়ে থাকি
শব্দহীন আরক্ত শিশিরে, বুকের
ভেতর কেঁপে উ’ঠে কিছু স্মৃতি অমল ভালোবাসায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন