সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কিশোর গল্পঃ ফুলের ঘ্রাণ ও আমার ছোট বাগান

কোন-কোন ফুল আমার খুব প্রিয় তা কী আমি নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো ? আমিতো একসাথে অনেক-অনেক ফুল ভালোবাসি। আমি কী বলবো গোলাপ আমার প্রিয়, হাসনাহেনা আমার প্রিয়, কামিনী আমার প্রিয়, রজনীগন্ধা আমার প্রিয়, কাঁঠালচাঁপা আমার প্রিয়, শাপলা আমার প্রিয়, বকুল আমার প্রিয়। আরও তো কতফুল রয়েছে; যাদের আমি অনেক-অনেক ভালোবাসি। আমার চারিদিকে, আমি অনেক ফুল দেখতে পাই। সেই সব ফুল যেন আমার আঁখিজুড়ে গেঁথে থাকে বসন্তের রঙেতাদের আমি দেখতে পাই আমার চোখজুড়ে। যেদিকেই তাকাই শুধু ফুল আর ফুল।  তাদের ঘ্রাণ যেন আমার স্বপ্নকে আরও বেশী শুভ্রতা দিয়ে যায়। আমার খুব ভাল লাগে যে, অনেক ফুল ফোঁটা দেশে আমি জন্মগ্রহণ করেছি। আমার দেশের মত সব দেশে কী এতো ফুল ফোটে ? আমি জানি না, আমি জানি যে; আমার দেশেই সবচেয়ে বেশী ফুল ফোটে। এটা ভাবতে আমার খুব ভাল লাগে। তাদের পাপড়ি আর বোঁটার দিকে আমি কোমল হ’য়ে তাকিয়ে থাকি। জবা আর সূর্যমুখী ফুলকে দেখলেই আমার মনে হয়; তারা যেন আমার মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করে যাচ্ছে ! ব্যাপারটি ভাবতেই আমার মাঝে একপ্রকার শিহরণ খেলা ক’রে যায়। আমি নিশ্চুপ হ’য়ে ভাবতে থাকি; ফুলগুলো এতো সুন্দর হ’লো কিভাবে ! তারা কী আগে থেকেই এতো সুন্দর ছিল ! না, আমার চোখ পড়া মাত্রই সুন্দর হ’য়ে উঠলো। আমি তাদের দিকে, মনোযোগ দৃষ্টি দিয়ে তাকিয়ে থাকি। আমার প্রিয় কোন একটি ফুলের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করবো ? ফুল, তোমরা এতো সুন্দর কেন! তোমাদের সৌন্দর্যের জন্য তো আমি ঘুমাতে পারি না, পড়ালেখা করতে পারি, খেলাধুলা করতে পারি না। এমন কি; মাঝে- মাঝে আমার স্বপ্নের ভিতর তোমরা চলে আসো, আমাকে না বলেই। আমার চোখ যতদূর যায়, তোমরাই যেন ধরা দাও আমার চোখজুড়ে। আমি কী হারিয়ে যাব তোমাদের মাঝে! যেভাবে আমরা হারিয়ে যাই আমাদের শৈশবে। অন্ধকারে তো কিছুই দেখা যায় না; ফুল দেখবো কিভাবে ? উজ্জ্বল আলোতে ফুল দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। তার সমস্ত রঙ আর পাপড়িগুলো যেন আমার দিকেই হাত বাড়িয়ে দেয়। যেন বলতে থাকে, ‘আমাকে একটু ছুঁয়ে যাও, তোমার কোমল হাতে’। আমি চুপ করে, আমার হাত বাড়িয়ে তাদেরকে ছুঁয়ে দেই। অন্ধকারে, ফুলগুলোকে খুব বেশী দেখা যায় না। ওই সময়ে, তাদের চতুর্দিকে গন্ধে ভ’রে উ’ঠে। অন্ধকারে তারা যেন গন্ধ ছড়াতে থাকে আমাদের মাঝে। ফুলগুলো তখন অনেক-অনেক ব্যস্ত হ’য়ে প’ড়ে। আমার কোন কথায় তারা কান দেয় না। আমি অন্ধকারে, তাদের অনেকবার ডেকেছি। বলেছি, ফুল তোমরা কী করো ? তারা ভুলেও আমার দিকে তাকায়নি, আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু তাদের উপর রাগ করিনি। আমি জানি; তারা গন্ধ ছড়াতে ব্যস্ত রয়েছে। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর; তারা আমার কথার উত্তর দেয়। আমার খুব ভালোলাগে। একসাথে সব ফুল যেন বলে উ’ঠে, ‘আমরা সুঘ্রাণ বয়ে দিচ্ছি তোমার চতুর্দিকে’, তুমি ঘ্রাণ নাও, তোমার ইন্দ্রিয়গুলো ভ’রে উঠবে এক প্রকার মাধুর্যময় সৌন্দর্যে’। আমি বিহ্বল হ’য়ে পড়ি। সত্যিই, আমি আমার চোখ বন্ধ ক’রে, ঘ্রাণ নিতে থাকি। একপ্রকার ছুঁয়ে যাওয়া ভালোলাগা যেন আমার নাকে গেঁথে থাকে। আমি যেন ভেসে যাচ্ছি, অজস্র সুঘ্রাণের মধ্যে। আমার মনে হতে থাকে; আমি যেন, কয়েক শতাব্দীর ঘ্রাণ আমার নাকে প্রবেশ করিয়ে নিচ্ছি, কয়েক মুহূর্তে। যেমন ভাবে, অনেক কিছুই আমরা ইন্দ্রিয়ে প্রবেশ করিয়ে নিই। আমি তো জানি; এতো ঘ্রাণ একজন মানুষ কখনও নিতে পারে না।

 

বৈশাখ আর ফাল্গুনে, আলাদা ক’রে ফুল ফোটে আমার দেশে। আমি সেটাও জানি। আমি জানি, আষাঢ়ের রয়েছে অন্য ফুল। জ্যোৎস্নার আলোয় ফুলগুলো দেখতে কেমন? আমি ভাবতে থাকি। আমি জোনাকিদের বলি; তোমরা আমার সমস্ত ফুলগুলোয় আলো ছড়িয়ে দিয়ে যাও, আমি তাদেরকে একটু ভালভাবে দেখি ঘন অন্ধকারে। ঘন অন্ধকারে, জোনাকি পোকাগুলো কী একটুকুও আলো দিবে না ফুলগুলোর উপর। আমাদের বাড়ি থেকে; অন্য বাড়িতে যাওয়ার পথে, অনেকটা পথ হাঁটতে হয়। আমি যখন ডানদিকে তাকাই; অনেকগুলো ফুলগাছ দেখতে পাই। তাদের সবাইকে আমি হয়তো ভালভাবে চিনি না। তারাও কী আমাকে চিনে ? চিনি না বলে, তারা কি আমার সাথে কোন কথা বলবে না! জবাকে চিনে নিতে আমার কোন কষ্ট হয় না। অনেক ছোট থেকে আমি ওই ফুল দেখে আসছি। রক্তজবা আমার খুব প্রিয়। অনেকবার তার গাঢ় রঙের দিকে দু’চোখ মেলে তাকিয়ে থেকেছি। তার দিকে তাকিয়ে থাকার পর মনে হয়েছে; যেন গাঢ় রক্ত ঝ’রে-ঝ’রে পড়ছে তার গাঁ থেকে। বোঁটা থেকে ঝ’রে পড়ছে দুধের মত শাদা কষ। লাল টুকটুকে ফুলের বোঁটা থেকে, যখন শাদা কষ বেড় হয়, আমার মনে হয়; যেন শাদা বৃষ্টির ফোঁটা ঝ’রে পড়ছে মেঘ থেকে। চারিদিকে শাদা বৃষ্টিতে ভরিয়ে দিবে। আর; তার প্রতিটি ফোঁটা যেন ঘন অন্ধকারের মধ্যে ফু’টে উঠছে। আমি যেন হারিয়ে যাচ্ছি সেই ফোঁটার শব্দে-শব্দে। বৃষ্টির ফোঁটায় সমস্ত ফুলগুলো যেন পরিশুদ্ধ হ’য়ে উঠছে। যেন নতুন জীবন ফিরে পাচ্ছে তারা। ফুল গাছগুলো যেন অপেক্ষার পর অপেক্ষায় থাকে বৃষ্টির জন্য। সে এসে যেন তাদেরকে ছুঁয়ে যাবে পরম মমতায়। বৃষ্টির ফোঁটাই যেন পরিশুদ্ধ করতে পারবে সমস্ত কিছুকে। আমি চোখ বন্ধ করে দেখতে থাকি; আমার প্রিয় ফুলগুলোর চতুর্দিকে যেন ঘন অন্ধকার নেমে আসছে। তার মধ্যে নামতে থাকে ঘন বৃষ্টি, শাদা বৃষ্টি। অনেক কিছুকে; সে তার মতো করে পবিত্রতার স্পর্শ দিয়ে যাবে। সে ছুঁয়েও যেতে পারে, তার মত করে। যেভাবে, আমরা ছুঁয়ে যাই অনেক কিছু। ভালো লাগতে থাকে আমার। লাল, শাদা, হলুদ রঙের পাপড়িগুলো যেন আমাকে বলতে থাকে, ‘তুমি কী আমাদের খুব ভালোবাস’, আমি চুপ হ’য়ে থাকি। আমি কী বলবো; সতিই আমি তোমাদের অনেক-অনেক ভালোবাসি। সন্ধ্যার মেঘের মতো; যে তার গাঢ় অন্ধকারকে ডুবিয়ে দেয় আপন আলোয়। কিন্তু আমি কিছুই বলি না। আমি চুপ করে বসে থাকি। জানালার দিকে তাকিয়ে থাকি অনেকক্ষণ, বড় ফুল গাছটির দিকে। আমাদের বাড়ির সামনেই আমি লাগিয়েছি আমার প্রিয় কিছু ফুল গাছ। যখন কোন কিছুই ভালো লাগে না, আমি সেখানে আমার মত করে সময় কাটাই। পানি দিই, আগাছা পরিস্কার করি। সময় পেলে, তাদের সাথে আমি কথা বলি, আমার ভাষায়। তারা কি আমার কথা শুনতে পায় ? আমি তো তাদের কথা শুনতে পাই, আমার কানে-কানে। অনেক রাতে, যখন আমার ঘুম আসে না; পড়ালেখা ভালো লাগে না; জানালার দিকে তাকিয়ে ফুলের দিকে তাকিয়ে থাকি। আমি তাদেরকে বলি, আমার ঘুম নেই, তোমাদেরও কি ঘুম নেই! এতো রাত পর্যন্ত জেগে রয়েছে কেন? যাও ঘুমিয়ে পড়, অনেক রাত হয়েছে। যেভাবে আম্মু আমাকে বলে। তারা আমার কথায় হাসতে থাকে। বলে, আমরা ঘুমিয়ে পরলে, তোমার সাথে কে কথা বলবে? তাইতো, আমরা ঘুমাইনি; তোমার জন্য জেগে আছি। তোমার সাথে কথা বলছি। তোমাকে সঙ্গ দিচ্ছি। তারা আমাকে বলে, তুমি ঘুমায় নি কেন? তোমার কি মন খারাপ? কেউ কি বকা দিয়েছে। আমি বলি, কেউ আমাকে কিছু বলেনি; এমনিতেই আমার ঘুম আসছে না। আমি, আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখতে থাকি। ফুল গাছের পাতা দেখতে থাকি। ঝিঁঝিঁ পোকা দেখতে থাকি। জ্যোৎস্না দেখতে থাকি। গভীর এক অন্ধকার দেখতে থাকি। আমার খুব ভালো লাগে; রাত জেগে এসব জিনিসগুলো দেখতে। এই জন্য হয়তো আমার ঘুম আসছে না। কিন্তু, আমি আর দেরি করবো না; কিছুক্ষনের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়বো। আমি বলি, জ্যোৎস্না, তোমরা ঘুমিয়ে পড়, ফুল তোমরা ঘুমিয়ে পড়, হাসনাহেনা তোমরা ঘুমিয়ে পড়, রক্তজবা, তোমরা ঘুমিয়ে পড়, অন্ধকার, তোমরা ঘুমিয়ে পড়। নারকেল আর কাঁঠাল গাছ, তোমরা ঘুমিয়ে পড়। আমার গ্রাম তোমরা ঘুমিয়ে পড়। আমিও ঘুমিয়ে পড়ি। তোমাদের সাথে আমার আবার দেখা হবে। আমি তোমাদের জন্য, অপেক্ষায় থাকবো। তোমরা কি আমার অপেক্ষায় থাকবে না ? 

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রবন্ধঃ বুদ্ধদেব বসু ও ‘কঙ্কাবতী’

বুদ্ধদেব বসু প্রেমের অজস্র কবিতা রচনা করেছেন । অন্য অনেকের মতো তিনিও বেছে নেন একজন প্রেমিকাকে , যে হ ’ য়ে উঠে বুদ্ধদেবের অতুল্য প্রেমিকা হিশেবে । ‘ কঙ্কাবতী ’ অনিন্দ্য প্রেমিকা হ ’ য়ে বুদ্ধদেবের কাব্যতে বিচরণ ক ’ রে স্বচ্ছন্দে । স্থির হয়ে বসে পড়ে কঙ্কাবতী ’ কাব্যগ্রন্থে । যে কাব্যগ্রন্থে ‘ কঙ্কাবতী ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে ‘ কঙ্কাবতীকে ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে কঙ্কাবতীকে আমরা দেখতে পাই অন্য কোনো কবিতায় । যেখানে সে প্রেমিকার কাছে হয়ে ওঠে কুৎসিত কঙ্কাল ব্যতীত অন্য কিছু নয় । প্রগাঢ় ভাবে প্রাপ্তির জন্যে সমস্ত কবিতা জুঁড়ে দেখতে পাই কবির অপরিবর্তনীয় আবেদন । কঙ্কাবতী , যাঁর সাথে কিছু বাক্য বিনিময়ের জন্যে রক্তের হিমবাহে দেখা দেয় চঞ্চলতা । সুপ্রিয়া প্রেমিকা মুখ তোলা মাত্র কবি হাঁরিয়ে ফেলেন ওই সৌন্দর্যময় বাক্যগুলো , যা বলার জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন কবি দীর্ঘদিন । প্রেমিকা যখন খুব কাছাকাছি হয়ে এগিয়ে আসেন , ওই ব্যর্থ ...

প্রবন্ধঃ অমিয় চক্রবর্তী : ‘বৃষ্টি’ নিয়ে তিনটি কবিতা

রবীন্দ্রনাথ, মেঘ-বরষা বৃষ্টি নিয়ে এতো সংখ্যক কবিতা লিখেছেন যে তাঁর সমান বা সমসংখ্যক কবিতা বাঙলায় কেউ লিখেনি। রবীন্দ্রনাথ, যাঁর কবিতায় বার বার এবং বহুবার ফিরে ফিরে এসেছে মেঘ, বরষা, বৃষ্টি। বৃষ্টি নামটি নিলেই মনে পড়ে কৈশোর পেড়িয়ে আসা রবীন্দ্রনাথের ওই কবিতাটির কথা। ‘দিনের আলো নিবে এল সূর্য্যি ডোবে ডোবে আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।’ বৃষ্টি নিয়ে কবিতা পড়ার কথা মনে পড়লে এটাই চলে আসে আমার মনে। অমিয় চক্রবর্তী বৃষ্টি নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু কবিতা। বাঙলায় বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখেনি এমন কবির সংখ্যা খুব কম বা নেই বললেই চলে। অমিয় চক্রবর্তী, যাঁর কবিতায় পাই ‘বৃষ্টি’ নামক কিছু সৌন্দর্যময় কবিতা। যে কবিতাগুলো আমাকে বিস্ময় বিমুগ্ধ ক’রে। ওই কবিদের কারো কারো কবিতা দ্রুত নিঃশ্বাসে পড়া সম্ভবপর হয়ে উঠে না। বৃষ্টি নামক প্রথম কবিতাটি পাওয়া যাবে অমিয় চক্রবর্তীর ‘একমুঠোতে’। উন্নিশটি কবিতা নিয়ে গ’ড়ে উঠে ‘একমুঠো’ নামক কাব্য গ্রন্থটি। যেখান থেকে শ্রেষ্ঠ কবিতায় তুলে নেওয়া হয় চারটি কবিতা। আমার আরো ভালোলাগে ‘বৃষ্টি’ কবিতাটি ওই তালিকায় উঠে আসে। শ্রেষ্ঠ কবিতায় না আসলে আমার যে খুব খারাপ লাগতে তা-ও নয়। ওই কবিতা...

প্রবন্ধঃ সুধীন্দ্রনাথ দত্তের প্রবন্ধ সংগ্রহ

সুধীন্দ্রনাথ , সাতটি কাব্যগ্রন্থের মতো সাতটি প্রবন্ধের গ্রন্থ লিখলে খারাপ হতো না , বেশ ভালোই হতো । সুধীন্দ্রনাথের প্রবন্ধগুলো হালকা মানের নয় , যদিও তাঁর কোন রচনাই হালকা নয় । সাহিত্যে বিচারে তা অনেক উঁচুমানের । তার উপর ভাষার ব্যাপারটি তো রয়েছেই । সুধীন্দ্রনাথ মাত্র দুটি প্রবন্ধ গ্রন্থ রচনা করেছেন । গ্রন্থ দুটো ‘ স্বগত ’ ( ১৩৪৫ ঃ ১৯৩৮ ), অপরটি ‘ কুলায় ও কালপুরুষ ’ ( ১৩৬৪ : ১৯৫৭ ) । ‘ স্বগত ’- তে রয়েছে ষোলটি প্রবন্ধ । গ্রন্থ দুটি তিনি রচনা করেছেন দু ’ ভাগে । লরেন্স বা এলিয়ট এর প্রবন্ধ যেমন পাওয়া যাবে না ‘ কুলায় ও কালপুরুষ ’- এ ; তেমনি রবীন্দ্র সম্পর্কিত প্রবন্ধ নেওয়া হয়নি ‘ স্বগত ’- এ । প্রকাশ কাল অনুযায়ী ‘ স্বগত ’- এর প্রবন্ধসমূহ : ‘ কাব্যের মুক্তি ’ ( ১৯৩০ ); ‘ ধ্রুপদ পদ - খেয়াল ’ ( ১৯৩২ ), ‘ ফরাসীর হাদ্য পরিবর্তন ’ ( ১৯৩২ ), ‘ লিটনস্ট্রেচি ’ ( ১৯৩২ ), ‘ লরেন্স ও ভার্জনিয়া উল্ফ্ ’ ( ১৯৩২ ), ‘ উপন্যাস তত্ত্ব ও তথ্য ’ ( ১৯৩৩ ), ‘ উইলিয়ম ফকনর ’ ( ১৯৩৪ ), ‘ ঐতিহ্য ও টি , এস , এলিয়ট ’ ( ১৯৩৪ ), ...