সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

কিশোর গল্পঃ স্বপ্নের বাড়ী ও একজন সুখী মানুষ

পুকুর পাড়েই একক একটি বাড়ী। যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা সেই বাড়ীটি। দেখলেই যেন আরও বেশী দেখতে ইচ্ছা করে। অনেকে চোখ মেলে বাড়িটিকে দেখে, অনেকে আবার ফিরেও তাকায় না। এ রকম চমৎকার বাড়ী সর্বদা সব জায়গায় দেখা যায় না। অনেক গ্রাম ঘুরেও, আমার মনে হয় এ রকম একটি সুন্দর বাড়ীর দেখা মিলবে কিনা কিঞ্চিত সন্ধেহ  আছে। এ-রকম বাড়ী অনেকে দেখেছে, আবার অনেকে দেখেনি। কেউ কেউ হয়তো স্বপ্নে দেখতে পারে। বাস্তবে এ-রকম একটি বাড়ী দেখা খুবই কষ্টকর। আবার অনেক সময় হঠাৎ করে দেখা মিলে। বাড়িটির চতুর্দিক দিয়ে শুধু সৌন্দর্য আর সৌন্দর্য। অনেক রকম সৌন্দর্যে পরিবেষ্টিত রয়েছে বাড়ীটি। তার সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য যা-যা দরকার সবই যেন রয়েছে বাড়িটির চতুর্দিকে। সন্ধ্যার সময় ওখানটাতে গিয়ে দাঁড়ালে মনে হয় যেন এক অজানা দেশে চলে এলাম। রাতে যেন এক গভীর অন্ধকারের মধ্যে সে বাড়িটি এককভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে। ঘন অন্ধকার যেন তাকে নিয়ে যাবে, তার অতলে। সেই বাড়িটির কোন সঙ্গী বা বন্ধু নেই, মানে তার আশে-পাশে আর কোন বাড়ী নেই। তার মত সে একাই দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ির আশে-পাশের সমস্ত গাছগুলো যেন তার বন্ধু হ’য়ে, তার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। বাড়ীটি বর্ষার সময় দাঁড়িয়ে থাকে, গ্রীষ্মের সময় দাঁড়িয়ে থাকে। বৈশাখের সময় হাওয়ায় দুলতে থাকে, বৃষ্টির সময় ভেসে ভেসে যেন অনেক দূর চলে যায়। আর হয়তো ফিরে আসবে না, কিন্তু না, সে বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে সে নেচে উঠে। ফাল্গুনে আবার পলাশের গন্ধ ছড়ায়। আবার শীতের কুয়াশার মধ্যে কেঁপে–কেঁপে দাঁড়িয়ে থাকে। ঘন কুয়াশা যেন চারিদিক দিয়ে তাকে জড়িয়ে রেখেছে। মাঝে-মাঝে যখন তীব্র কুয়াশা পড়ে, তখন সব কিছু একদম শাদা হ’য়ে উঠে। যেন মনে হয় বাড়ীটি মেঘে-মেঘে ভেসে বেড়াচ্ছে। শাদা মেঘের মধ্যে হয়তো হারিয়ে যাবে। বাড়ির পাশ দিয়েই ছোট একটি খাল। কেউ কেউ নদী বলে এটাকে; কিন্তু নদী নয়। দীর্ঘ খাল, অনেকে আবার মরা খালও বলে। বর্ষার মৌসুম ছাড়া সেখানে পানির দেখা মিলে না বললেই চলে। একমাত্র সেই সময় খালটি তার জীবন ফিরে পায়। এই আনন্দে সে নাচতে-নাচতে হয়তো অনেক দূর চলে যায়। বাড়ির আশে-পাশের দিকগুলো তখন পানিতে থৈ-থৈ করতে থাকে। সেই বাড়িতে ঢুকার আর কোন পথ থাকে না। একটি মাত্র পথই রয়েছে। যাকে বলা যেতে পারে প্রধান দ্বার। এই সময় গুলোতে নৌকা ছাড়া কোথাও যাওয়া যায় না। নৌকাই হ’য়ে উঠে একমাত্র বাহন। অনেকে এটাকে বলে থাকে ‘স্বপ্নের বাড়ী’। স্বপ্নের বাড়িতে গিয়ে যা চাওয়া হয় মনে মনে তা পূর্ণ হ’য়ে উঠে। অনেকে এটা বিশ্বাস করে; অনেকে আবার করে না। কেউ কেউ বলে এটা তাদের অনেক ইচ্ছাই পূর্ণ করেছে। কেউ ব্যর্থ হ’য়ে ফিরে আসেনি। কিছু না কিছুই সে পেয়েছে। কিন্তু প্রাপ্তির একটি ভাল দিক না-কি থাকতে হয়। মন্দ কিছু হলে অপূর্ণ হাতে ফিরে আসতে হবে। অনেকে কষ্টও পেয়েছে তার জন্য। কিন্তু কোন প্রকার অনুশোচনা করে নি। আশে পাশ ছাড়াও; অনেক দূর দূরান্ত থেকে মানুষ আসতে থাকে সেই স্বপ্নের বাড়িতে। তারা এটা বিশ্বাস করে, তারা কিছু পাবে। শুধু বিশ্বাসই করে না; অনেকটা বুকের গভীরেও ধারণ করে থাকে। যাকে গভীর বিশ্বাসও বলা যেতে পারে। তারা মানে কিছু না কিছু পাবে। যা তারা মনে মনে চেয়েছে, পূর্ণ ভাবনায়। কিংবদন্তী রয়েছে, অনেক দিন যাবত একজন মানুষই এই বাড়িতে বসবাস করে আসছে। অনেকে বলে; তাকে তারা দেখেছে। অনেকে আবার বলে আমরা কিছুই দেখিনি। শুধুই একটি ছায়া ছাড়া; সেটা আর কিছু নয়। আমাকে সেটা মেনে নিতে হয়। অনেক সময় মানতে ইচ্ছে করে, আবার করে না। কিন্তু মানুষ যে আসে ? কেন আসবে ? তারা যদি কিছুই না পায়। জনে জনে মানুষ তো এখানে থাকে না। শুধু একজন মানুষই এ বাড়িতে থাকেন। আগতরা রাত্রীও যাপন করে না। তাহলে কেউ কি কিছুই দেখেনি ! তবে তারা যে বলে; তারা কিছু না কিছু পেয়েছে এবং সবকিছু তারা জানে। আমার বুঝতে বেশ কষ্ট হয় যে, তাহলে তারা কি পেল, সেই স্বপ্নের বাড়ী থেকে। আসলে তারা কি কিছু জানে ? আমি মনে করি, তাদের কোন কথার নির্দিষ্ট কোন অর্থ নেই। তারপরও দলে দলে মানুষ সে স্থানটিতে আসতে থাকে। আসতে থাকে সকাল, বিকাল আর সন্ধ্যায়। তাদের কেউ পথ দেখায় না; বা এখানে পথ দেখানোর মত সহযোগী পাওয়া যাবে না। আমি সে রকমটাই জেনেছি। দলে দলে যখন তারা প্রবেশ করে ওখানে; পিঁপড়ের সারির মত, এক ফোঁটাও শব্দ শোনা যায় না তাদের মুখ থেকে। কোন শব্দ হয় না, যেন সব কিছু নিশ্চূপ থাকে। চিত্রটা অনেকটা এ রকম; একদল নির্বাক মানুষ কোন প্রাথর্নালয়ে প্রবেশ করছে। যেখানে অনেক মানুষ থাকবে কিন্তু এক ফোঁটাও শব্দ হবে না। আমার কল্পনা চিত্রে এ রকমটাই ভেসে উঠে, যেন একদল সবাক মানুষ একটি পথ দিয়ে তারা প্রবেশ করছে। যে পথটা খুব সহজ নয়; আবার যে খুব যে কষ্টকর তা কিন্তু নয়। আর অপর প্রান্তের পথ দিয়ে তারা যেন নির্বাক হ’য়ে বেড়িয়ে পড়ছে। তাদের হাতটা শুধু সামনের দিকে প্রসারিত। পা দু’টো খুব ধীরে-ধীরে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দৃষ্টি যেন সামনের দিকেই। তাদের যেন কিছুই বলার নেই। কারণ; তাদের পূর্বেই বলা হয়েছে কিছু প্রাপ্তির জন্য; ক্ষুদ্র কিছু ত্যাগ তাদের করতে হবে। যে ত্যাগটা করার জন্য তাদের মন থেকেই সারা দিবে। এই ত্যাগটা সে রকম কিছু বলেই আমি মনে করি। তাহলে সুখী মানুষটা কই ? যাকে দেখার জন্য এতো কিছু। না-কি সে ছায়া হয়ে সব কিছু করছে একা-একা, আপন মনে। যারা বলেছে, দেখেছে তাহলে কি দেখেছে ? ছায়া না মানুষ ? স্পষ্ট করে বলুক। কেউ যদি বলে আমি ‘ছায়া’ দেখেছি। তাহলে সে ‘ছায়া’ দেখে এটা বলেছে। কেউ যদি বলে আমি মানুষ দেখেছি; তাহলে সে ‘মানুষ’ দেখে এটা বলেছে। কিন্তু একই জায়গার মানুষ দু’রকম বলছে। কেউ ‘ছায়া’ আবার কেউ ‘মানুষ’। তাঁরা যে মিথ্যা বলছে তা কিন্তু নয়। কিন্তু দু’টো এক সাথে হতে পারে না। যে কোন একটি হবে। যেমন একই সাথে একজন মানুষ ‘জীবিত’ বা ‘মৃত্যু’ হতে পারে না। বরং এটা বলা যেতে পারে সে জীবিত ছিল, মৃত্যুবরণ করেছে। যে কিছুক্ষণ পূর্বেও জীবিত ছিল, এখন মৃত্যু। স্বপ্নের বাড়ির সব সৌন্দর্য তাহলে কিছুই নয়। যা বর্ণনা করা হ’লো। আর সুখী মানুষ সে কোথায় ? কেউ তো নির্দিষ্ট করে কিছুই বলল না। তাহলে তারা সব কিছু জানে। যা তাদের অভ্যন্তরে রয়েছে। কে দেখছে এই সব। কয়েকদিন কেন ? কয়েক শতাব্দী কেটে গেলেও খুঁজে কি পাবো সেই সুখী মানুষকে। যাকে নাকি অনেক মানুষ দেখেছে। যদি বলা হয়, কে দেখেছ ? বলবে, আমি শুনেছি, তার কাছ থাকে। আমি শুনেছি, তার কাছ থেকে। আমি শুনেছি তার কাছ থেকে। তাহলে অন্ধকারের সবকিছুই অন্ধকারময়, যা কখনো আলোর মুখ দেখতে পায় না। যা আলোতে থাকে তাকে অন্ধকার দিয়ে ঢেকে দেওয়া যেমন অনেক কষ্টকর। তারপরও মানুষ আলো ও অন্ধকারের ভিতর দিয়ে নিজেকে নিয়ে যাচ্ছে অনেক দূরে। তারা নিজেও জানে না কোথায় যাচ্ছে, বা যেতে হবে। তারা বোধহয় আলোও চেনে না; অন্ধকারও চেনে না। তাহলে তাঁরা কি চেনে। মানুষ, তার বাড়ি, অবস্থান, নাকি কয়েক মুহূর্তের মধ্যে সব মিথ্যা হয়ে উঠে তাঁদের চোখের সামনে। যা কখনও মেনে নেইনি মন থেকে। অন্যরা যেভাবে সব কিছুই মেনে নেয় ভালোবাসার টানে। তাহলে কী স্বপ্নের বাড়ীর আসল কোন অবস্থান নেই এখানে। নাকি মানুষের মুখে-মুখে রচিত হয়ে আছে অন্য সব অলৌকিক বস্তুর মত। যাতে মানুষ খুব সহজেই বিশ্বাস আনতে পারে সেই জায়গা বা মানুষটির উপর। এটা যে সব সময় সত্য হবে তা কিন্তু নয়। সত্য থেকেও আরো অনেক বেশী মিথ্যা হয়ে দেখা মানুষের মস্তিষ্কে। যা সত্য থেকেও মিথ্যার জায়গা অনেক বেশি বড় হয়ে ফুটে উঠে। অনেকটা বোকা মানুষের গল্পের মত। যার কোন কিছুই যেন পরিপূর্ণতার স্বাদ পায় না, শুধুই অবয়বে বেড়ে উঠা। কিছু মানুষ তাতে বিশ্বাস আনে নিজের মত করে, আবার অনেকে তাকে মিথ্যা বানাবার জন্য অনেক বেশি তৎপর হয়ে উঠে। ভাল বলুক বা মন্দ বলুক সে সেই মিথ্যার গল্পের ঝুড়ি যেন ভরে তুলতে চায় নিজের সমস্ত কিছু দিয়ে। অনেকটা যেন ভাষার সৌন্দর্য যেন আপন হাতে বিনষ্ট করা। আবার অনেক সময় দেখা যায় সেখানে জেগে উঠে নিজের অমর বাণী।    

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

প্রবন্ধঃ বুদ্ধদেব বসু ও ‘কঙ্কাবতী’

বুদ্ধদেব বসু প্রেমের অজস্র কবিতা রচনা করেছেন । অন্য অনেকের মতো তিনিও বেছে নেন একজন প্রেমিকাকে , যে হ ’ য়ে উঠে বুদ্ধদেবের অতুল্য প্রেমিকা হিশেবে । ‘ কঙ্কাবতী ’ অনিন্দ্য প্রেমিকা হ ’ য়ে বুদ্ধদেবের কাব্যতে বিচরণ ক ’ রে স্বচ্ছন্দে । স্থির হয়ে বসে পড়ে কঙ্কাবতী ’ কাব্যগ্রন্থে । যে কাব্যগ্রন্থে ‘ কঙ্কাবতী ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে ‘ কঙ্কাবতীকে ’ দেখা দেয় অনৈসর্গিক হয়ে । ‘ কঙ্কাবতী ’ কাব্য রচনার পূর্বে কঙ্কাবতীকে আমরা দেখতে পাই অন্য কোনো কবিতায় । যেখানে সে প্রেমিকার কাছে হয়ে ওঠে কুৎসিত কঙ্কাল ব্যতীত অন্য কিছু নয় । প্রগাঢ় ভাবে প্রাপ্তির জন্যে সমস্ত কবিতা জুঁড়ে দেখতে পাই কবির অপরিবর্তনীয় আবেদন । কঙ্কাবতী , যাঁর সাথে কিছু বাক্য বিনিময়ের জন্যে রক্তের হিমবাহে দেখা দেয় চঞ্চলতা । সুপ্রিয়া প্রেমিকা মুখ তোলা মাত্র কবি হাঁরিয়ে ফেলেন ওই সৌন্দর্যময় বাক্যগুলো , যা বলার জন্যে অপেক্ষায় ছিলেন কবি দীর্ঘদিন । প্রেমিকা যখন খুব কাছাকাছি হয়ে এগিয়ে আসেন , ওই ব্যর্থ

প্রবন্ধঃ বিষ্ণু দে : ‘উর্বশী ও আর্টেমিস’ থেকে ‘চোরাবালি’

বিষ্ণু দে , তিরিশি কবিদের অন্যতম । কবিতা রচনাই যাঁর কাছে এক এবং অদ্বিতীয় হ ’ য়ে দেখা দেয় । কাব্যে সংখ্যার দিক থেকে অতিক্রম করেছেন সতীর্থদের । বিষ্ণু দে , যাঁর কবিতা রচনার সূচনা পর্বটিও শুরু হয় খুব দ্রুততম সময়ে । কবিতা সৃষ্টির পর্বটি অব্যাহত রেখেছেন সর্বদা । পঁচিশটি কবিতা নিয়ে ‘ উর্বশী ও আর্টেমিস ’- এ নিজেকে প্রকাশ করেন স্ব - মহিমায় । যে কবিতাগুলা বিস্ময়বিমুগ্ধ ক ’ রে অন্যেদেরকেও । ওই কবিতা শুধু বিষ্ণু দে ’ কে নয় , বরং নতুনতর হ ’ য়ে দেখা দেয় বাঙলা কবিতা । বিষ্ণু দে ’ র ‘ উর্বশী ও আর্টেমিস ’ রবীন্দ্রনাথকে পড়তে হয়েছিল দু ’ বার । ‘ উর্বশী ও আর্টেমিস ’- এর কবিতাগুলির রচনাকালের ব্যাপ্তি দেওয়া আছে ( ১৯২৮ - ১৯৩৩ ) সময়ের মধ্যে , এবং গ্রন্থকারে প্রকাশ পায় ওই একই বছরে অর্থাৎ , ১৯৩৩ - এ । কিন্তু রচনাকালের ব্যাপ্তি ১৯২৮ দেওয়া থাকলেও প্রকৃত পক্ষে এ সকল কবিতাগুলো রচনা পর্ব শুরু হয় আরো দু ’ বছর পূর্বে অর্থাৎ , ১৯২৬ - এ । যখন কবি হিশেবে বিষ্ণু দে একেবারেই নতুন এবং নবীন । ১৯৩৩ - এ

প্রবন্ধঃ অমিয় চক্রবর্তী : ‘বৃষ্টি’ নিয়ে তিনটি কবিতা

রবীন্দ্রনাথ, মেঘ-বরষা বৃষ্টি নিয়ে এতো সংখ্যক কবিতা লিখেছেন যে তাঁর সমান বা সমসংখ্যক কবিতা বাঙলায় কেউ লিখেনি। রবীন্দ্রনাথ, যাঁর কবিতায় বার বার এবং বহুবার ফিরে ফিরে এসেছে মেঘ, বরষা, বৃষ্টি। বৃষ্টি নামটি নিলেই মনে পড়ে কৈশোর পেড়িয়ে আসা রবীন্দ্রনাথের ওই কবিতাটির কথা। ‘দিনের আলো নিবে এল সূর্য্যি ডোবে ডোবে আকাশ ঘিরে মেঘ জুটেছে চাঁদের লোভে লোভে।’ বৃষ্টি নিয়ে কবিতা পড়ার কথা মনে পড়লে এটাই চলে আসে আমার মনে। অমিয় চক্রবর্তী বৃষ্টি নিয়ে লিখেছেন বেশ কিছু কবিতা। বাঙলায় বৃষ্টি নিয়ে কবিতা লিখেনি এমন কবির সংখ্যা খুব কম বা নেই বললেই চলে। অমিয় চক্রবর্তী, যাঁর কবিতায় পাই ‘বৃষ্টি’ নামক কিছু সৌন্দর্যময় কবিতা। যে কবিতাগুলো আমাকে বিস্ময় বিমুগ্ধ ক’রে। ওই কবিদের কারো কারো কবিতা দ্রুত নিঃশ্বাসে পড়া সম্ভবপর হয়ে উঠে না। বৃষ্টি নামক প্রথম কবিতাটি পাওয়া যাবে অমিয় চক্রবর্তীর ‘একমুঠোতে’। উন্নিশটি কবিতা নিয়ে গ’ড়ে উঠে ‘একমুঠো’ নামক কাব্য গ্রন্থটি। যেখান থেকে শ্রেষ্ঠ কবিতায় তুলে নেওয়া হয় চারটি কবিতা। আমার আরো ভালোলাগে ‘বৃষ্টি’ কবিতাটি ওই তালিকায় উঠে আসে। শ্রেষ্ঠ কবিতায় না আসলে আমার যে খুব খারাপ লাগতে তা-ও নয়। ওই কবিতা