তোমাকে যখন দেখি, মনে হয় পৃথিবীর সব ব্যাধি যেন হঠাৎ
এই দেহে এসে জমেছে,
আমার দেহে, তোমার স্পর্শের ক্ষুধায় কাঁপতে থাকে মাঘের হিমের মত
জমে থাকা এই রক্তে, প্রজ্বলিত শরীরে, বেড়ে উঠা স্বপ্নে;
যেখানে তোমার অনুপস্থিতি, প্রতিদিন নতুন ক্ষতের সৃষ্টি সেখানে
তোমাকে ভালোবাসা মানে আগুনে হাত রাখা; তা আমি জানি
জানি, পুড়ে যাব, তবু হাত সরাতে পারি না, কিসের টান, তাও জানি না;
কারণ তুমি সেই দহন, যা ছাড়া আমার রাত অসম্পূর্ণ,
তুমি সেই অমোঘ আকর্ষণ, যার দিকে টানতে টানতে
আমি নিজের শরীরের সীমা ভুলে যাই তার নির্দিষ্ট কাঠামোতে,
তোমার ঠোঁটের ছোঁয়া, কখনও মনে হয় ওখানে যুদ্ধ বাধাবো!
আমি হেরে যেতে চাই, শুধু তোমার কাছে, তোমার শরীরে
হেরে গিয়ে আবার নতুন ক’রে বাঁচবো তোমাতে ভর ক’রে,
একটি ক্লান্ত বর্ষার পাতা যেমন নরম কাদার স্পর্শে নিশ্চুপ হ’য়ে যায়
তোমার চোখে যে অন্ধকার, তা নরম নয়; অজানা গন্তব্য আমার
তার মধ্যে আছে কামনা, প্রশ্ন, নীরব সহিংসতা, যুদ্ধ
যেখানে আমি বন্দি হ’য়েও মুক্তির স্বাদ পাই,
যেন তুমি আমাকে ছিন্নভিন্ন করলেও
আমার ভিতরেই জন্ম নেয় তোমার দিকে ফেরার আরেক আকুলতা
রাতগুলো তোমার নাম উচ্চারণ করার জন্যই বানানো;
আমার নিঃশ্বাসগুলো তোমার ত্বকের অবিকল অনুকরণ,
যেন তুমি আমার কাছে না থেকেও
আমার শরীরে গোপনে বাস কর;
তোমার অনুপস্থিতিও যেন আরেক উপস্থিতি
যা আমাকে আরও তীব্র ক’রে, আরও অস্থির ক’রে,
আরও গভীর ক’রে আমাকে তোমার দিকে টেনে নেয়
আমি জানি, এই প্রেম যুক্তির বিরুদ্ধে,
এ প্রেমে শরীরও আছে, পাপও আছে, ভয়ও আছে,
তবু যখন তুমি আমার দিকে গভীর দৃষ্টিতে তাকাও
আমি বুঝি, ‘বার-বার আমাদের মরতে হয় নতুন ক’রে জন্ম নেওয়ার জন্য’
বিশ্বের সমস্ত নিষেধ, সমস্ত নীতি, সমস্ত ভঙ্গুর নৈতিকতা আর শাসন
তোমার এক দৃষ্টির কাছে নগ্ন হ’য়ে প’ড়ে,
আর আমি ভেঙে পড়ি, গ’লে যাই, জন্মাই
শুধু তোমার জন্য,
শুধু তোমার আগুনে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন