ব্যর্থ মানুষের
মতো পড়ে রই; যেখানে নেমে আসে গভীর অন্ধকার,
নীল বনে জাগায় অপার সৌন্দর্য আমার আঙুল ও
রক্তিম ঠোঁটে,
ঝ’রে প’ড়ে তীব্র জ্যোৎস্না
আমার বন-উপবনে।
কেঁপে-কেঁপে
আবার স্পর্শের জ’লে ডুব দিই অমল ছোঁয়ায়;
জলকে তু’লে নিই আমার সমস্ত শরীর
জুড়ে,
অস্তি মাংস জুড়ে গেঁথে থাকে শতো
পতঙ্গের সৌরভ, উজাড় ক’রে তোলে আমার শৈশবের
বেঁচে থাকা নিবিড় স্মৃতি।
রুপালি জলে
ধুয়ে গেছে হৃদয়ের হারানো সুর,
মাঘের হাওয়ায় নিস্তব্ধ হ’য়ে রই,
দেহের ক্ষতে জমে আছে পুঁজ, আঙুলের
রুপালি ঝর্না সমুজ্জ্বল রক্তের গভীরে;
সাড়া দিই মাঘের
তীব্র বাতাসে,
বিষণ্ণ স্মৃতির মতো খেলা ক’রে
যায় জলধারা,
নিঃশব্দে
রুপালি জলে সন্ধ্যায় নেমে যাই
দেহের সব মাধুর্য
অম্লান ক’রে একা,
বিষণ্ণ সুর
হারিয়ে যায় আমার বিবর্ণমাখা মৌনে,
শিশিরে মেখে থাকে জলকণা,
নিদ্রাহীন
বেঁচে আছি, ঝ’রে পড়া স্নিগ্ধ স্মরমালা বেদনা জাগায় দুর্ভেদ্য নিশীথে;
নিজস্ব
জ্যোতির্ময় আলোয় আর ফিরে আসি না,
সবুজ উদ্ভিদ ভেদ
ক’রে,
আমার আপন মাটিতে।
রোদনের চিহ্ন
ব’য়ে বেড়াই সুগন্ধ শরীরে, শূন্যলোকে নিসর্গের
বিগলিত
ঠাণ্ডা হিমে,
গ’লে গ’লে করুণ হ’য়ে যাচ্ছে আমার নিথর
আঁখিতারায়,
গভীর অন্ধকারে হারিয়ে যাবো,
উজ্জ্বল-উৎসবে
কোমল শিশির জড়ানো অজানা পথে।
প্রসারিত ভাবনায়; অর্থহীন হ’য়ে বেঁচে থাকে
হৃদপিণ্ডের স্পন্দিত অতলে।
অব্যক্ত
কণ্ঠস্বরে আভাময় শ্রুতি রাত্রিদিন
ব’য়ে যায় আমার সবুজ পাতার
নিঃসৃত
জলতরঙ্গের
মৌলিক শূন্যতায়।
গভীর জ্যোৎস্নায় আমিও হারিয়ে যাই
নিবিড় আলিঙ্গনে;
ঢেউ বয়ে যায়,
শ্যামল মেঘের দেশে পলি মাটির প্রান্ত মোহনায়,
গাঢ় দুঃখ শোক
গেঁথে থাকে ভরা পূর্ণিমায় আমার অতীন্দ্রিয় জল ও জ্যোৎস্নায়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন