সরাসরি প্রধান সামগ্রীতে চলে যান

পোস্টগুলি

কবিতাঃ অনেক দিন তাঁদেরকে দেখি না

  অনেক দিন তাঁদেরকে দেখি না, যাঁদেরকে চোখের কোণে লুকিয়ে রেখেছি শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে; অশ্রুকোণে তারা লুকিয়ে থাকে গভীর স্মৃতির অন্তরালে আমার নিরর্থক দিনগুলি বেড়ে উ’ঠে দুঃস্বপ্নে, অতীত স্মৃতি খেলা ক’রে ভাবনার শরীরে নিঃশব্দে, জলের উপর দীর্ঘ ঢেউ ফেলে-ফেলে তারাও হারিয়ে যায় আমার শূন্য বুক থেকে; টলোমলো চোখের ভেতর নেমে আসে কোনো এক বিষাদের চিহ্ন কয়েক মুহূর্তে দীর্ঘ হ’য়ে শুভ্র জ্যোৎস্নার সৌন্দর্যও যেন হারিয়ে যায় নীল বুক থেকে মাঘের কোমল বাতাসে তীব্রভাবে                                      আবেগের সমস্ত কিছু যেন ধুয়ে-মুছে গেছে হৃদয়ের সজীব কোণ থেকে মায়াবী শূন্যলোকে   প্রোজ্জ্বলিত দিনের শেষে নেমে আসে গাঢ় রাত্রি নিভৃত বু’কে, শাশ্বত ভাবনার মহাবিশ্বে একাকী চাঁদও ভুলে যায় আলো-আঁধারের সমস্ত স্মৃতির কথা বিবর্ণ ধারায় নিঃশব্দে; সমস্ত দুঃস্বপ্ন যেন জড়ো হয় আমার চতুর্দিকে, হারানো স্মৃতির ফেলে আসা উজ্জ্ব...

কবিতাঃ কবির বাস্তবতা

                      বাস্তবের সাথে মিশে থাকি, চিন্তা-ভাবনায় জড়ো করি এক গভীর উপলব্ধি                     কাব্যেয় রূপ দেই ঐশ্বর্যময় প্রোজ্জ্বলিত শব্দের; চৈতন্যলোকে টেনে আনি                     বিচ্ছিন্ন চিত্রকল্পনা, ছুঁয়ে যাওয়া স্বপ্নহীন বিবর্ণতায় একে দিই মহাকবির                     অমর বাণী কয়েক মুহূর্তে, মৃদু স্বরে বেজে উ’ঠে কোনো হারানো সুর বু’কের                     মধ্যে থেকে, নিঃসঙ্গ ও গাঢ় অন্ধকারে মিশে যায় পূর্ণ অভিজ্ঞতার অনেক কিছু;                    ...

কবিতাঃ নিঃসঙ্গতা ও একটি নীল জ্যোৎস্না

                     মনে প’ড়ে না তোমার কথা, খুব বেশী যে চেষ্টা করেছি তাও নয়-                    ভাবনার সাথে মিশে থাকি একান্ত হ’য়ে, গভীর বু’কে জ’মে থাকে অনেক                    আবর্জনা শতাব্দীর অমল শিশিরে, সান্ত্বনা দিয়ে তাদের ঘুমিয়ে রাখি                    আলতো ক’রে মনের কোণে; নিসর্গ সন্ধ্যায় ঝ’রে প’ড়ে নীল জ্যোৎস্না আমার                    বারান্দায়, রক্তজবা তার ডাল বিছিয়ে দেয় কোমল হাতের নিবিড় স্পর্শে;                        হা...

কবিতাঃ ঠিক পৌঁছে যাব

                         ঠিক পৌঁছে যাব আমি, দেখে নিও তুমি সেই সময়ের মধ্যে                      যা তুমি আমাকে বেঁধে দিয়েছ, তোমার ফ্রেমে বাঁধা সময় থেকে,                        ভুলে যাইনি আমি সেই সময়ের কথা আমার বিস্তৃত মন থেকে,                      যা তুমি আমাকে বার-বার স্মরণ ক’রে দিয়েছিলে বুধবার সন্ধ্যায়,                         হ য়তো আমি হারিয়ে যাব গভীর অন্ধকারে, দু’চোখে গেঁথে থাকবে               ...

কোন চিহ্ন আমি রাখবো না

  ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না বুকের রক্তিম গভীরে,   অনেকগুলো সৌন্দর্যরে চিহ্ন আমি ব’য়ে দিয়েছি নীল স্মৃতির মায়ানদী জু’ড়ে প্রোজ্জ্বলিত শুভ্র চাঁদের মত, নিসর্গ শিশিরের কোমলে, বিষাক্ত ছোঁয়ায়,   জেগে উঠা আঁখিতারায় নিঃশব্দে, কেঁপে উঠা আঙুলের একান্ত গভীরে   সেই উৎসবের সমস্ত আয়োজন মিশে গেছে স্লিগ্ধ ভোরে রূপসীর সৌন্দর্যে;                  যে মেঘ আমি উড়িয়েছি গাঢ় জ্যোৎস্নায় তীব্র ভালোবেসে পবিত্র শিশিরে,                     দু’চোখের উজ্জ্বল অশ্রুকোণ শ্রাবণজলে ঝ’রে গেছে নিসর্গ সন্ধ্যায়                 নরম সবুজ বাতাসে; পাখির সুর, নীল ঢেউ আর জ্যোতির্ময় আকাশে;                   ভালোবাসার কোন চিহ্নই আমি রাখবো না নিবিড় নীলবীথি হৃদপিণ্ডে  ...

আমি তো তোমাকেই ডাকছি

  আমি তো তোমাকেই ডাকছি আমার মতো ক’রে;   অনেকদিন ধ’রে এরকম ভাবে কাউকে ডাকিনি সকাল ও সন্ধ্যায় ডাকলেই যে সাড়া পাওয়া যাবে সেটাও হয়তো ভুলে গেছি মন থেকে;   আজকাল খুব বেশী শূন্যতাবোধ করি মনে-মনে, চারদশক একাই তো চলে এলাম এই পর্যন্ত, জ্যোৎস্না আর নিসর্গ নদীকে পিছে ফেলে, আলো ও আঁধারের সকল চিহ্ন আজও স্পষ্ট আমার শরীরে স্বপ্নের সিঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আজও দেখি সেই প্রিয় মুখগুলো,   চাঁদ আর ফাল্গুনের স্নিগ্ধ সৌন্দর্য মেখে যাঁদের আমি বর্ণনা করেছি পঙক্তি র পর পঙক্তি জুড়ে, নিশীথের বাতাসে যে শোভা খেলা ক’রে আমার কোমল ইন্দ্রিয়ে, তাঁদের আমি ভুলিনি, স্মৃতির পাতায় আজও যাঁদের অম্লান ক’রে রাখি,   স্পর্শের প্রোজ্জ্বলে ছোঁয়া মিশে থাকে আমার বিবর্ণময় টুকরো-টুকরো স্মৃতিতে;   বেশী কিছু বলার নেই ভাবনার জগত থেকে, মুছে গেছে সময়ের ব্যবধানে জীবনের সমস্ত উৎসব বিবর্ণ বিষণ্ণতায়, নিজেকে হাজার বার জিজ্ঞাসা করেছি ভুলে কী থাকতে পারবো তাঁদের ছাড়া, শূন্যতার স্বপ্নজলে   যারা আমাকে নিয়ে গেছে রুপালী নিঃসঙ্গ নিবিড় সন্ধ্যায় !   উজ্জ্বল অপরূপ সৌন্দর্যময় যে আঙুলগুলো ক...

বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে

                   বাঙলার মানুষগুলো বেশ ধনী হ’য়ে উঠছে, কয়েক দশক সময় ধ’রে                    উন্নত অনেক দেশের মতো সেও পৌঁছে যাবে নির্দিষ্ট লক্ষে                    বাঙলার সমস্ত ব্যাংক ভ’রে উঠছে ডলার-পাউন্ড আর ইয়েনে তার দিগ্বিদিক                  কানায় কানায় পূর্ণ সমস্ত নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা, উপচে পড়ছে বৈদেশিক মুদ্রা                  তার সমস্ত রিজার্ভে, সুনিবিড় শিল্পের ছোঁয়া আজ হীরকখচিত মুদ্রায়                        কেন্দ্রীয় ব্যাংক শতাব্দীর পর শতাব্দী ধ’রে যে স্বপ্ন দেখে আসছে      ...