রাত্রির গাঢ় অন্ধকারে নিজেকে হারিয়ে ফেলি কয়েক
মুহূর্তে;
ধূসর মেঘ থেকে কখন যে ঝ’রে পড়লো
বৃষ্টির ফোঁটাগুলো নিঃশব্দে
ভাবনার জগত থেকে তাও জানি না-
সমুদ্রের ঢেউগুলো ভেঙে পড়ছে লালমেঘের
আড়ালে, দূষিত রক্তে মিশে আছে
রাত্রির নিবিড়তা, তীব্র আর উজ্জ্বল হ’য়ে নক্ষত্রের
আড়ালে;
দিগন্ত বিস্তৃত সীমানায় গেঁথে
রাখি অদ্ভুত স্মৃতিগুলো ভাবনার গভীরে
নীল আর সাদা মেঘে উ’ড়ে যায় আমার চেতনা আরক্ত
শিশিরে;
মানুষের সমস্ত সম্পর্ক নিরর্থক,
শূন্যতা ছাড়া আর কিছুই মনে হয় না বাঙলার মাটিতে
দাঁড়িয়ে থাকি মধুমতীর পাড়ে, রোদের
ঝিলিক খেলা করে আমার মসৃণ শরীরে
সুখ খুঁজি সামান্য কিছুতে, নিঃসঙ্গ
মুহূর্তে, রক্তনালিতে মিশে থাকে শব্দহীন
শীতল ঢেউ আশ্বিনের বাতাসে, মেঘমালা
ব’য়ে চলে সোনা ছড়িয়ে কোমল নীলে,
উজ্জ্বল সোনালী ডানায় উড়তে থাকে
আমার হারানো স্মৃতিগুলো তীব্রবেগে;
শোভাময় আমার সমস্ত কিছু, অপার্থিব স্বপ্নের
নিসর্গে অমল বাতাসে-
শেফালির
সৌন্দর্য নির্মম ভাবে গেঁথে থাকে অপরূপ চোখে,
লাবণ্য-উচ্ছ্বাসে নিমিষেই হারিয়ে
যায় সুন্দরের সকল আশ্চার্য অর্থ স্মৃতির আড়ালে
জ্যোতির্ময় রক্তাক্ত ক্ষতে খেলা
করে চিরসুন্দরের বীভৎসতা মর্মে-মর্মে;
নিরন্তর ভাবনায় হারিয়ে যাই দিন শেষে পঙ্কের
সরোবরে,
নীলিমার নক্ষত্রে সমস্ত অন্তরে ছায়া ফেলে আমার
গাঢ় দুঃস্বপ্ন
মাধুর্যময় আমার সমস্ত রচিত সংগীত নিঃশব্দে ব’য়ে
চলা শিশিরে,
অতীন্দ্রিয় ভাবনায় স্মৃতিরা
বেঁচে থাক সৌন্দর্যের সুস্নিগ্ধ আশ্চার্য জীবনে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন